“ভালোবাসা” শব্দটিই পূর্ণ এক অদৃশ্য নিগূঢ় আবেদনময়ী বৈচিত্র্যের মনোভাবে মুড়িয়ে। ভালোবাসা একেক জায়গায় একেক রকম। ভালোবাসা আছে বলেই জগতে মায়ার বন্ধনে অস্পৃশ্য সুঁতোয় বাঁধা আছে হাজারো পুষ্পিত প্রাণ। মানবজাতি ভালোবাসার কাঙাল। ভালোবাসার তো কোনো আলাদা দিন লাগে না ক্ষণ লাগে না। আজকের পোষ্টে আলোচনা হবে ভালোবাসা দিবস কেন পালন করা হয় এই নিয়ে বিস্তারিত।
প্রতিটি মুহুর্তেই থাকে ভালোবাসার আদল। তবুও আমরা বিশেষভাবে ১৪ ই ফেব্রুয়ারী ” ভ্যালেন্টাউনস ডে মানে ভালোবাসা দিবস পালন করি। চলেন তাহলে মূল কথায় আসি।
ভালোবাসা দিবস কেন পালন করা হয়
[ads1]
ভালোবাসা একটি অনুভব । ভালোবাসা হতে পারে দুটো মানুষে, ভালোবাসা হতে পারে একটি বস্তুকে, ভালোবাসা হতে পারে অদৃশ্য স্রষ্টাকে, ভালোবাসা হতে পারে নিজের একটি কাজকে । এইযে কোনো কিছুর সাথে একটি মানসিক সংযোগ, এটাই ভালোবাসা ।ভালোবাসা একটি সাবকনশাস ফিলিংস । এটি পুরোপুরি কনসাস নয় আবার পুরো আনকনসাস নয় । এটি মাঝামাঝি একটি উত্তাপ ।
ভালোবাসা একটা সংযোগ, ভালোবাসা একটি এটাচমেন্ট । আমরা যখন ছোট থেকে বড়ো হতে থাকি – আমাদের শরীর শুরুতে ভয় এবং অনিশ্চয়তায় বাড়তে থাকে । অজানা কৌতূহল আর প্রশ্ন । জীবনের প্রথম ভালোবাসাটি গড়ে ওঠে বাবা মা পরিবার এই চক্রে । তৈরি হয় উত্তর এবং আস্থা । ধীরে ধীরে এই ভালোবাসা আমাদের রসায়নকে স্থিতি দেয় । আমাদের ভয় এবং অনিশচয়তা কমায় । তাই হয়তো কবি বলেছেন–
[ads2]
“ভালোবাসা বাঁচুক প্রাণ খুলে, আমি আপনি সবাই ভালোবাসার ভিক্ষুক..!
তাই একমুঠো রোদ্দুরের মতন একচিলতে অপরাহ্নের রোদে নিষ্পাপ ভালোবাসা বেঁচে থাকুক।
আসর বসাক ওই নীলরঙা গগনের বিশালতায়।
মাতুক তারা স্বপ্নীল স্বর্ণালি মনমেঘের মোহমায়ায়।”
সময়ে শরীর বড়ো হয় । আমাদের রসায়নে অনেক পরিবর্তন হয় । সে রসায়ন আমাদের মধ্যে ভিন্ন রকম ভালোবাসা তৈরি করে । চেনা পরিবারের গণ্ডি ছেড়ে আমরা ভিন্ন একটি মানুষের মাঝে খুঁজি ভালোবাসা । সে ভালোবাসা দিয়ে কেউ আমরা আরেকটি ঘর বাঁধি, কেউ বাঁধি না । আর ভালোবাসার এই মানুষগুলোর অনুভূতিকে মহিমান্বিত করতেই নানা উপহার, ঘুরতে যাওয়া,প্রিয়জনদের সারপ্রাইজড করার মাধ্যমেই পালন করা হয় ভালোবাসা দিবস।
আশাকরি উপরোক্ত আলোচনা থেকে ভালোবাসা দিবস কেন পালন করা হয় এই নিয়ে আপনার আর বুঝতে বাকি নেই। ভালোবাসা দিবস নিয়ে আরো পড়তে পারেন উইকিপিডিয়াতে। তবে ভালোবাসা দিবস নিয়ে কিছু পোষ্ট পড়তে ঝটপট ভিজিট করুন রোমান্টিক ক্যাটাগরি।