Home » Others » শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যয়ন সাবজেক্ট রিভিউ

শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যয়ন সাবজেক্ট রিভিউ

শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যয়ন সাবজেক্ট রিভিউ

আমাদের অনেকের কাছেই শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যায়ন নতুন একটি সাবজেক্ট। অথবা এমন কেউ আছেন যারা শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যয়ন সাবজেক্ট এর নাম আগে কখনো শোনে নি। তবে আমার আপনার কাছে শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যয়ন সাবজেক্ট পরিচিত না হলেও, এই বিষয় নিয়ে অনেক শিক্ষার্থী আগে থেকেই পড়াশোনা করছে। আমাদের আজকের আর্টিকেলের একমাত্র আলোচনার বিষয় হলো শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যয়ন সাবজেক্ট রিভিউ সম্পর্কে। চলুন পাঠক তবে শুরু করা যাক।

আপনিও নিশ্চয়ই শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যায়ন সাবজেক্টে পড়াশোনা করতে চাচ্ছেন। এই বিষয়ে পড়াশুনা করার আগে অবশ্যই আপনাকে শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যায়ন সম্পর্কে সঠিক তথ্য জেনে নিতে হবে। তাই আজকের আর্টিকেল আমরা শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যয়ন সাবজেক্ট সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করব। আশা করি আজকের আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনি শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যায়ন সাবজেক্ট সম্পর্কে সঠিক তথ্য পাবেন।

শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যয়ন সাবজেক্ট

অনেকের কাছে শান্তির সংঘর্ষ অধ্যায়ন সাবজেক্ট নতুন বিষয় মনে হয়। আবার কেউ কেউ মনে করেন দুটি সম্পন্ন বিপরীত সাবজেক্ট কিভাবে একসাথে পড়তে হবে। অর্থাৎ শান্তি ও সংঘর্ষ কিন্তু বিপরীত শব্দ। তাহলে কিভাবে দুটি বিপরীত শব্দ নিয়ে একটি সাবজেক্ট গঠিত হয়েছে। এরকম বিভিন্ন রকমের প্রশ্ন আমাদের মনে থাকে।

শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যায়ন সাবজেক্ট মূলত সমাজবিজ্ঞান, রাজনীতি, অর্থনীতি, সরকার, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, জেন্ডার, পরিবেশ, আইন, মানবাধিকার, দেশের আভ্যন্তরিক অবস্থা ও দেশের সংঘর্ষ ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা করা হয়। অর্থাৎ আপনাকে মূলত রাষ্ট্রবিজ্ঞান সাবজেক্টের যে বিষয়গুলো রয়েছে, সেই বিষয়গুলো মূলত শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যায়ন বিষয়ে পড়তে হবে।

See also  আপনি আচরি ধর্ম শিখাও অপরে ভাবসম্প্রসারণ

শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যায়ন সাবজেক্ট সবার কাছে বেশি পরিচিত নয়। সেক্ষেত্রে এর সাবজেক্ট নিয়ে আমাদের বিভিন্ন রকমের প্রশ্ন থাকে। এছাড়াও অনেকে চিন্তাভাবনা করে এ বিষয়ে পড়াশোনা করে ভবিষ্যতে চাকরি পাওয়া যাবে কিনা। এরকম বিভিন্ন রকমের প্রশ্ন থাকে। চলুন শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যয়ন সাবজেক্ট রিভিউ নামক এই আর্টিকেলে বিস্তারিত জেনে নিই।

শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যায়ন সাবজেক্টে পড়তে কত সময় লাগে

সাধারণত ইন্টারমিডিয়েট পাশ করার পর আপনি শান্তি ও সংঘর্ষ দেন সাবজেক্টে পড়াশোনা করতে পারবেন। শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যায় সাবজেক্ট পড়তে সাধারণত সময়কাল ৪ বছর এবং মাস্টার্সের ১ বছর। প্রতি বছরে ২টি সেমিস্টার থাকে। যেহেতু বছরে দুটি সেমিস্টার দিতে হবে। সে ক্ষেত্রে সেশন জ্যাম থাকার কোন সম্ভাবনা আছে কিনা। সত্যিকার অর্থে এ বিষয়ে সেশন জ্যামের কোন ভয় নেই। আপনি নিঃসন্দেহে এই বিষয়ে পড়াশোনা করতে পারেন।

শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যয়ন সাবজেক্ট ক্যারিয়ায়

অনেকে মনে করে শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যায়ন সাবজেক্টে পড়াশোনা করলে চাকরি পাওয়া অনেক কঠিন হয়। অর্থাৎ, শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যায়ন সাবজেক্টে পড়াশোনা করলে চাকরি পাওয়া নাকি কঠিন হয়। আমরা অনেকেই এরকম মনে করে থাকি।

প্রকৃতপক্ষে শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যায়ন সাবজেক্টে পড়াশোনা করলে আপনি ভালো একটি চাকরি পাবেন। অর্থাৎ শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যায়ন সাবজেক্ট ক্যারিয়ান অত্যন্ত ভালো। বিভিন্ন দেশি ও বিদেশী এনজিও, আন্তর্জাতিক সংস্থা ও বিভিন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান হচ্ছে এই শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যায়ন সাবজেক্টের চাকরি মূল কেন্দ্র ।

এছাড়াও আপনি বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠান এই বিষয়ে পড়াশোনা করে চাকরি করার সুযোগ পাবেন। আবার যদি কেউ সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের চাকরি করার সুযোগ না পায়। সেক্ষেত্রে চিন্তা করার কোনো কারণ নেই। কারণ বেশিরভাগ শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যায়ন ডিগ্রিধারী বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কাজ করে।

সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ছাড়াও বিভিন্ন রকম আন্তর্জাতিক সংস্থা ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান কেন্দ্রে এই বিষয়ে আপনি চাকরি পাবেন। বিশেষ করে গবেষণা কেন্দ্র শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যায়ন বিষয়ে বেশি চাকরি পাওয়া যায়।

See also  একুশের কৃষ্ণচূড়া আমাদের চেতনার রং (ব্যাখা)

তবে এই বিভাগ সম্পৃক্ত চাকরি ও গবেষণা ক্ষেত্র বাংলাদেশে খুব একটা বড় না। অর্থাৎ আমাদের দেশে এসব বিষয়ে চাকরি পাওয়া একটি কঠিন বিষয়। কিন্তু আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যয়নের চাহিদা বর্তমান সময়ে অনেক বেশি। বিশেষ করে আন্তর্জাতিক সংগঠনগুলোতে ও গবেষণায় এ সকল বিষয়ে চাকরির ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। চলুন শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যয়ন সাবজেক্ট রিভিউ এই পর্যায়ে এবার জানবো সপ্তাহে কয়টি ক্লাস পড়তে পারে এবং কত সময় ধরে।

শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যায়ন সাবজেক্টে সপ্তাহে কয় ঘন্টা ক্লাস

প্রকৃতপক্ষে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যায়ন সাবজেক্ট এর রুটিন বিভিন্ন রকম হয়ে থাকে। তবে সকল বিশ্ববিদ্যালয় প্রায় সপ্তাহে ৮ ঘন্টা ক্লাস নেওয়া হয়। অনার্স শেষ বছরে মাত্র চার ঘন্টা ক্লাস হবে। শান্তি ও সংরক্ষণ সাবজেক্টে আরো সহজ করে দেওয়ার জন্য প্রত্যেকটা বিশ্ববিদ্যালয় একটি সেমিনার লাইব্রারি স্থাপন করে রয়েছে। এই লাইবারের মাধ্যমে একজন শিক্ষার্থীর নিজের প্রয়োজনীয় বই ও তথ্য সংগ্রহ করতে পারবে।

শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যায়ন সাবজেক্ট এর সুবিধা

সন্দেহ সংঘর্ষ অধ্যায়ন সাবজেক্টে আপনি যদি পড়াশোনা করেন তাহলে বিভিন্ন রকমের সুবিধা পাচ্ছেন। সব থেকে বড় সুবিধা হল আপনি পড়াশোনা পাশাপাশি পার্টটাইম চাকরি করতে পারবেন। পার্ট টাইম চাকরি করার সুযোগ কিভাবে পাবেন। যেহেতু আপনার সপ্তাহে ৮ ঘন্টা ক্লাস। সেক্ষেত্রে আপনার চাকরি করার পর্যাপ্ত পরিমাণ সুযোগ রয়েছে।

এমন অনেক শিক্ষার্থী রয়েছে যারা শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যায়ন সাবজেক্টে পড়াশোনা করে আবার ফুল টাইম চাকরি করছে। তবে ফুল টাইম চাকরি করলে আপনার পড়াশোনার ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এক্ষেত্রে আপনি পার্ট টাইম চাকরি করতে পারেন। কিন্তু যে ধরনের চাকরি করেন না কেন? আপনার পড়াশোনার যেন ক্ষতি না হয় সে বিষয়ে লক্ষ রাখতে হবে।

পরিশেষে কিছু কথা

এই ছিল আজকে আমাদের শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যয়ন সাবজেক্ট রিভিউ (Peace and Conflict Studies Subject Review) নিয়ে সংক্ষিপ্ত একটি আলোচনা। আশা করি,যারা নতুন অবস্থায় শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যায়ন সাবজেক্টে অনার্স করবেন, তাদের আজকের আর্টিকেল একটু হলেও উপকারে আসবে। কারণ আজকে আমরা শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যায়ন বিষয় নিয়ে পুরোপুরি ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করেছি।

See also  ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ সাবজেক্ট রিভিউ

এছাড়াও অনেকের মাঝে এই বিষয় নিয়ে অনেক ভুল ধারণা ছিল। সেই ভুল ধারণা ভেঙ্গে দেওয়ারও চেষ্টা করেছি। আপনি যদি শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যায়ন সাবজেক্ট সম্পর্কে আরো বিস্তারিত তথ্য জানতে চান। তাহলে অবশ্যই একজন কলেজের প্রভাষকের সাথে কথা বলবেন। অথবা যে সকল শিক্ষার্থীরা এই বিষয় নিয়ে পড়াশোনা করছে, তাদের সাথে কথা বলে সবথেকে ভালো বুঝতে পারবেন। তো আজকের আর্টিকেল কেমন লাগলো অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। এরকম আরো শিক্ষা বিষয়ক নতুন নতুন আর্টিকেল পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করতে পারেন।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top