আমরা সবাই জানি যে, আমাদের কাছে থাকা ব্যক্তিগত জাতীয় পরিচয় পত্র গুলো আমাদের জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ একটি জিনিস। যেটি মূলত আমাদের নাগরিকত্বের পরিচয় বহন করে থাকে। আর সে কারণে আমাদের প্রতিনিয়ত nid যাচাই করার প্রয়োজন হয়ে থাকে। কেননা আপনার জাতীয় পরিচয় পত্রের বিভিন্ন রকমের ভুল তথ্য থাকতে পারে। যেমন, আপনার নামের ক্ষেত্রে ভুল থাকতে পারে, কিংবা আপনার বয়সের ক্ষেত্রে ভুল থাকতে পারে। আর সে কারণে মূলত এই বিষয় গুলো জানার জন্য আপনাকে অবশ্যই nid যাচাই করে নিতে হবে। যেখান থেকে আপনি জেনে নিতে পারবেন যে, আপনার জাতীয় পরিচয় পত্রে কোন ধরনের ভুল আছে কিনা। এবং যদি সেই ভুল গুলো ধরা পড়ে তাহলে আপনি তাৎক্ষণিক ভাবে সেই ভুল গুলো সংশোধন করার জন্য ব্যবস্থা নিতে পারবেন।
মূলত আপনি যদি আপনার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ nid যাচাই করে নিতে চান। তাহলে আজকের এই আর্টিকেল টি শুধুমাত্র আপনার জন্যই লেখা হয়েছে। কারণ আজকের এই আর্টিকেলে আপনি nid যাচাই করার সমস্ত ধাপ গুলো সম্পর্কে জেনে নিতে পারবেন। তো আপনি যদি আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র কে যাচাই বাছাই করতে চান। তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য অনেক বেশি হেল্পফুল হবে। এবং আমি যথাসাধ্য চেষ্টা করব এই বিষয় গুলো কে খুব সহজ ভাবে আলোচনা করার। সেজন্য অবশ্যই এই পুরো আর্টিকেল টি মনোযোগ সহকারে দেখবেন। তাহলে আপনার মনে আর নিজের জাতীয় পরিচয় পত্র যাচাই বাছাই করন সম্পর্কিত আর কোন অজানা বিষয় থাকবে না। চলুন এবার সরাসরি মূল আলোচনায় ফিরে যাওয়া যাক।
nid যাচাই কি?
আপনি হয়তোবা জেনে থাকবেন যে, একটি দেশের জন্য কোন একজন ব্যক্তির নিজস্ব জাতীয় পরিচয় পত্র সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি জিনিস। যার মাধ্যমে সেই ব্যক্তি কোন একটি দেশের নাগরিকত্বের পরিচয় বহন করে থাকে। আর সে কারণে এই ধরনের জাতীয় পরিচয় পত্র গুলোকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়। কিন্তু বিভিন্ন সময় আমাদের এই জাতীয় পরিচয় পত্র যাচাই বাছাই করা প্রয়োজন হয়ে থাকে। যেমন ধরুন, আপনার এখনো জাতীয় পরিচয় পত্র বের হয়নি। কিন্তু আপনার কাছে আপনার জাতীয় পরিচয়পত্রের নিবন্ধনকৃত স্লিপ নাম্বার কিংবা ভোটার নম্বর আছে। সেক্ষেত্রে আপনি সেই নাম্বার গুলো দিয়ে nid যাচাই করে নিতে পারবেন। এবং আপনার সেই জাতীয় পত্রের কোন ধরনের ভুল থাকলে, আপনি তা সংশোধন করার জন্য ব্যবস্থা নিতে পারবেন। মূলত এই পদ্ধতি কে বলা হয়ে থাকে nid যাচাই।
কিভাবে nid যাচাই করবেন?
আপনি চাইলে মাত্র কয়েকটি পদ্ধতি অনুসরন করে খুব সহজেই আপনার কাছে থাকা nid যাচাই করে নিতে পারবেন। তবে সেজন্য আপনাকে বেশ কয়েকটি ধাপ অনুসরণ করতে হবে। আর এবার আমি সেই ধাপ গুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব। তাই অবশ্যই নিচের আলোচিত আলোচনা গুলো একটু মনোযোগ সহকারে দেখার চেষ্টা করবেন। না হলে আপনি সঠিক ভাবে আপনার কাছে থাকা nid যাচাই করতে পারবেন না। তো চলুন এবার তাহলে সেই ধাপ গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জেনে নেওয়া যাক।
এসএমএস করে জাতীয় পরিচয় পত্র নাম্বার বের করুন
আমাদের মধ্যে যে মানুষ গুলো ভোটার নিবন্ধন করেছেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত জাতীয় পরিচয় পত্র হাতে পাননি। সেই মানুষ গুলো খুব সহজেই তাদের হাতে থাকা মোবাইল ফোন দিয়ে তার জাতীয় পরিচয় পত্রের সকল তথ্য সম্পর্কে জেনে নিতে পারবে। এর পাশাপাশি এই তথ্য গুলোর সাহায্য সেই ব্যক্তি বিভিন্ন কাজ করতে পারবে। তো যদি আপনি আপনার হাতে থাকা মোবাইল ফোন দিয়ে এসএমএস এর মাধ্যমে আপনার জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য বের করতে চান। এবং আপনি যদি nid যাচাই করতে চান। তাহলে আপনাকে বেশ কিছু ধাপ অনুসরণ করতে হবে। এবং আপনি যদি সঠিক ভাবে সেই ধাপ গুলো অনুসরণ করতে পারেন। তাহলে খুব সহজেই আপনি মোবাইলে এসএমএস করে জাতীয় পরিচয় পত্রের তথ্য জানতে পারবেন।
Nid Number Check From SMS
যদি আপনি আপনার জাতীয় পরিচয় পত্রের নাম্বার চেক করতে চান। সেক্ষেত্রে আপনাকে সবার আগে আপনার ফোনের এসএমএস অপশনে যেতে হবে। এবং সেখানে গিয়ে টাইপ করতে হবে NID<space>From No<space>DD-MM-YY এবং এটি টাইপ করার পরে আপনাকে উক্ত মেসেজটি পাঠিয়ে দিতে হবে 105 নম্বরে। অর্থাৎ সবার আগে আপনাকে আপনার ফোনের মেসেজ অপশনে যেতে হবে। এবং তারপরে আপনাকে টাইপ করতে হবে NID. এরপর আপনাকে একটি স্পেস দিতে হবে। আর এরপরে আপনাকে আপনার হাতে থাকা ভোটার নিবন্ধন এর ফরম নাম্বারটি বসিয়ে দিতে হবে।
যখন আপনি নাম্বারটি বসিয়ে দিবেন, তখন আপনাকে পুনরায় আরেকটি স্পেস দিতে হবে। এবং তারপরে আপনার জন্ম তারিখ টাইপ করার পরে আপনাকে 105 নাম্বারে মেসেজ পাঠিয়ে দিতে হবে। এবং মেসেজ পাঠানোর কিছুক্ষণ সময় আপনাকে অপেক্ষা করার প্রয়োজন হবে। আর যখন আপনি কিছু সময় অপেক্ষা করবেন। তারপরে আপনার ফোনে একটি ফিরতি এসএমএস আসবে। সেই এসএমএস এর মাধ্যমে আপনি আপনার জাতীয় পরিচয় পত্রের নাম্বার সম্পর্কে জানতে পারবেন।
আমার ভোটার আইডি কার্ড দেখতে চাই
যখন আপনি জাতীয় পরিচয় পত্রের জন্য নিবন্ধন করবেন। তখন আপনি খুব সহজেই আপনার নিবন্ধন করা সেই nid যাচাই করে নিতে পারবেন। সেক্ষেত্রে আপনার হাতে একটি মোবাইল ফোন অথবা একটি কম্পিউটার এর প্রয়োজন হবে। এবং আপনাকে সরাসরি চলে যেতে হবে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে। সেই ওয়েবসাইট থেকে আপনি আপনার নিবন্ধন করা সেই জাতীয় পরিচয় পত্র সম্পর্কে সকল তথ্য গুলো জেনে নিতে পারবেন। এবং প্রয়োজনে আপনি এই ওয়েবসাইট থেকে এনআইডি অনলাইন কপি ডাউনলোড করে নিতে পারবেন। আর এই কাজ গুলো খুব সহজে করার জন্য আপনাকে বেশ কিছু ধাপ অনুসরণ করতে হবে।
তো আপনি যদি বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রবেশ করেন। সেক্ষেত্রে আপনাকে লগিন করার প্রয়োজন হবে। কিন্তু যদি আপনার সেই ওয়েবসাইট এ কোন একাউন্ট না থাকে। তাহলে অবশ্যই আপনাকে নতুন একটি একাউন্ট তৈরী করে নিতে হবে। যখন আপনি নতুন একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করবেন। তখন পুনরায় আপনাকে সেই একাউন্টের মাধ্যমে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন এর ওয়েবসাইটে লগইন করতে হবে। এবং যখন আপনি লগইন করবেন। তখন আপনি বিভিন্ন রকমের অপশন দেখতে পারবেন। যেমন, প্রোফাইল, পাসওয়ার্ড চেঞ্জ, রি-ইস্যু ইত্যাদি বিভিন্ন রকমের অপশন দেখতে পাবেন।
এখন যদি আপনার কাছে কোন ধরনের জাতীয় পরিচয় পত্র না থাকে এবং আপনি যদি নতুন জাতীয় পরিচয় পত্রের জন্য নিবন্ধন করে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনার কাছে একটি স্লিপ নম্বর কিংবা ফরম নম্বর থাকবে আপনাকে সেই নম্বরগুলোর মাধ্যমে এই অপশন গুলো কে কাজে লাগিয়ে জাতীয় পরিচয় পত্রের সকল তথ্য গুলো সম্পর্কে জেনে নিতে হবে এবং আপনি চাইলে এই ওয়েবসাইটে দেখানো ডাউনলোড অপশন থেকে আপনার বর্তমান জাতীয় পরিচয় পত্র টি সরাসরি অনলাইন কপি হিসেবে ডাউনলোড করে নিতে পারবেন
nid যাচাই নিয়ে কিছু কথা
প্রিয় পাঠক, বিভিন্ন সময় বিভিন্ন প্রয়োজনে আমাদের nid যাচাই করার প্রয়োজন হয়ে থাকে। আর কিভাবে আপনি আপনার ব্যক্তিগত nid যাচাই করবেন, সেই পদ্ধতি গুলো নিয়ে আজকের বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করা হয়েছে। আশা করি এই আলোচিত আলোচনা গুলো বুঝতে আপনার কোন ধরনের সমস্যা হয়নি। তবে এরপরও যদি কোন সমস্যা হয়, তাহলে অবশ্যই নিচে কমেন্ট করে জানিয়ে দিবেন। আমি যথাসাধ্য চেষ্টা করব আপনার সমস্যা সমাধান করার জন্য।