দেখুন একজন বাংলাদেশের নাগরিক হুয়ে আপনার ভোটার তথ্য যাচাই করা বেশ জরুরি একটি বিষয়। কারণ যখন আপনি ভোট কেন্দ্রে ভোট দিতে যাবেন। তখন আপনার জাতীয় পরিচয়পত্রের প্রয়োজন হয় না। বরং যখন আপনি ভোট দিবেন, তখন আপনার ভোটার সিরিয়াল নাম্বার এর প্রয়োজন হয়। তবে আপনি চাইলে অনলাইনের মাধ্যমে আপনার ভোটার সিরিয়াল নাম্বার দেখে নিতে পারবেন। আমার এই কাজ গুলো আপনি কিভাবে করতে পারবেন। মূলত সেই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করার জন্যই আজকের এই আর্টিকেল টি লেখা হয়েছে।
আপনি যদি ভোটার তথ্য যাচাই করার উপায় গুলো সম্পর্কে জানতে চান। তাহলে চেষ্টা করবেন আজকের পুরো আর্টিকেল টি মনোযোগ সহকারে পড়ার। কারণ এই আর্টিকেল এর মধ্যে আমি ভোটার তথ্য যাচাই করার সমস্ত পদ্ধতি গুলো ধাপে ধাপে আলোচনা করবো। তাহলে আর দেরি না করে চলুন সরাসরি মূল আলোচনায় ফিরে যাওয়া যাক।
ভোটার সিরিয়াল নাম্বার কি?
যখন আপনি নির্দিষ্ট কোন ভোটার এলাকায় আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র নিবন্ধন করবেন। তখন ভোটার তালিকায় আপনার যত নম্বর সিরিয়ালে নিবন্ধন থাকবে। মূলত সেই নম্বর কেই বলা হয়ে থাকে ভোটার সিরিয়াল নাম্বার।
মূলত যখন আপনি কোন ভোট কেন্দ্রে ভোট দেওয়ার জন্য প্রবেশ করবেন। তখন সেই কেন্দ্রে থাকা কর্মকর্তারা আপনার এলাকা ভিত্তিক ভোটার সিরিয়াল নাম্বার জানতে চাইবে। এবং যখন আপনি আপনার এই ভোটার সিরিয়াল নাম্বার সঠিক ভাবে দিবেন। ঠিক সেই সময় কিন্তু আপনি ভোট প্রদান করতে পারবেন।
ভোটার সিরিয়াল নাম্বার জানার উপায় কি?
বিষয়টা দুঃখজনক হলেও সত্য যে কয়েক বছর আগে আমরা চাইলে আমাদের ভোটার সিরিয়াল নাম্বার অনলাইনের মাধ্যমে জানতে পারতাম। কিন্তু বর্তমান সময়ে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন অফিস এর ওয়েবসাইট আপডেট করার পরে। এখন অনলাইনে ভোটার সিরিয়াল নাম্বার জানার কোন উপায় নেই। কেননা এই পদ্ধতিকে পুরোপুরি ভাবে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
যথা সময়ে ভোটার রেজিস্ট্রেশন না করলে পরে কিভাবে রেজিস্ট্রেশন করতে হয়?
আমাদের মধ্যে এমন অনেক মানুষ থাকবেন, যারা মূলত সঠিক সময় ভোটার তথ্যের জন্য রেজিস্ট্রেশন করতে পারেননি। তো যারা যারা এই রকম সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন। তারা চাইলে পরবর্তী যে কোন সময়ে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন অফিসের ওয়েবসাইট থেকে পুনরায় অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন।
বিদেশ থেকে কি বাংলাদেশের ভোটার হওয়ার জন্য রেজিস্ট্রেশন করা যাবে?
হ্যাঁ! আপনি চাইলে বিদেশ থেকে বাংলাদেশের ভোটার হওয়ার জন্য রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন। তবে আপনি যদি বিদেশ থেকে এই কাজটি করতে চান। তাহলে অবশ্যই আপনাকে নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে। আর আপনাকে কি কি নিয়ম মানতে হবে। সে সম্পর্কে আপনি সমস্ত বিষয় বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন অফিস এর মূল ওয়েবসাইটে জানতে পারবেন।
একটি ভোটার আইডি কার্ডে বিভিন্ন খেতাব, পেশা কিংবা পদবী ব্যবহার করা যাবে কিনা?
আমাদের মধ্যে কিছু মানুষ আছেন, যে মানুষ গুলো আসলে তাদের ভোটার আইডি কার্ডে বিভিন্ন রকম পেশা, খেতাব কিংবা পদবী ব্যবহার করতে চায়। তো সেই মানুষ গুলোর মনে একটি প্রশ্ন জেগে থাকে। যে তার এই পেশা কিংবা পদবি গুলোকে ভোটার আইডি কার্ডের ব্যবহার করতে পারবে কিনা। তো যাদের মনে এই ধরনের প্রশ্ন জেগে থাকে, তাদের বলব। একটি ভোটার আইডি কার্ডের তালিকা শুধুমাত্র নামের ডেটাবেজ থাকে। সেই কারণে আপনি এ ধরনের খেতাব, পেশা কিংবা পদবী কে ভোটার আইডি কার্ডে সংযুক্ত করতে পারবেন না।
ভোটার রেজিস্ট্রেশন করার পরে যদি বিদেশ গেলে অন্য কেউ আইডি কার্ড উত্তোলন করতে পারবে?
যদি আপনি বাংলাদেশ ভোটার রেজিস্ট্রেশন করেন এবং ভোটার তথ্য প্রদান করার পর আপনি বিদেশ চলে গেলেন। তো এই মুহূর্তে আপনার দেশে আসতে অনেক সময় লাগবে। এখন আপনার মনে একটি প্রশ্ন জেগে থাকতে পারে যে। বাংলাদেশের অন্য কেউ আপনার সেই ভোটার আইডি কার্ড উত্তোলন করতে পারবে কিনা। তো এই প্রশ্নের উত্তরে বলতে হবে যে, আপনার অনুপস্থিতিতে অন্য কেউ এসে ভোটার আইডি কার্ড উত্তোলন করতে পারবে না। তবে আপনি বিদেশ থেকে অনলাইনের মাধ্যমে আপনার ভোটার আইডি ডাউনলোড করে নিতে পারবেন ।
যদি আমি আমার ভোটার তথ্য ইচ্ছে করেই ভুল তথ্য দেই। তাহলে আমার কি হবে?
একটি ভোটার তথ্য যখন দিবেন, তখন অবশ্যই সব তথ্য সঠিকভাবে দেয়ার চেষ্টা করবেন। কিন্তু যে মানুষগুলো নিজের ইচ্ছাকৃতভাবে এই ভোটার তথ্য ভুল প্রদান করবে। তাদের পরবর্তীতে বিভিন্ন রকম সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে। কেননা যদি আপনি নিজের ইচ্ছায় ভোটার তথ্য ভুল তথ্য প্রদান করেন। তবে আপনার জেল কিংবা জরিমানা হতে পারে।
কারো ভোটার তথ্য ১৩ টি নাম্বার আবার কারো ১৭ টি নম্বর থাকে কেন?
আপনি একটা বিষয় লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন যে। কিছু ভোটার আইডি কার্ডের 13 টি সিরিয়াল নাম্বার থাকে। আবার কিছু কিছু ভোটার আইডি কার্ডের 17 টি নাম্বার থাকে। মূলত সেই সময়ে আমাদের মনে একটি প্রশ্ন জেগে থাকবে যে, নাম্বারের ক্ষেত্রে এমন ভিন্নতা কেন। তো এই প্রশ্নের উত্তর হলো, যেসব ভোটার আইডি কার্ড গুলো 2008 সালের পরে রেজিস্ট্রেশন করা হয়েছে, এবং পুনঃনিরীক্ষণ করা হয়েছে। মূলত সেই সব ভোটার আইডি কার্ডের মধ্যে 17 টি করে নম্বর দেয়া থাকে।
আমার ভিন্ন দলিলপত্র/কাগজে বিভিন্ন নাম/বয়স রয়েছে, এখন আমি ভোটার তথ্য কোনটি প্রদান করব?
যদি এরকমটা হয়ে থাকে যে, আপনার বিভিন্ন রকম দলিলপত্রে আপনার নাম ভিন্ন ভিন্ন রয়েছে। কিংবা আপনার বয়সের পার্থক্য রয়েছে। সেক্ষেত্রে আপনাকে বেশ চিন্তার মধ্যে পড়ে যেতে হবে। কারণ আপনি আপনার ভোটার তথ্যে কোন দলিলের নাম / বয়স দিবেন সেটি বুঝে উঠতে পারবেন না। তো এক্ষেত্রে আপনি যদি এসএসসি পরীক্ষা দিয়ে থাকেন। তাহলে আপনি আপনার সেই এসএসসি পরীক্ষার সার্টিফিকেট এর মধ্যে যে বয়স অথবা নাম থাকবে। সেটি আপনি ভোটার তথ্য দেয়ার চেষ্টা করবেন।