আপনি কি নবম (৯ম) শ্রেণির ব্যবসায় উদ্যোগ অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর সমাধান ২০২২ ৩য় (তৃতীয়) সপ্তাহ ১০০% নির্ভুল অনুসন্ধান করে চলেছেন? তবে আপনি সঠিক জায়গায় এসেছেন। মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাত অধিদপ্তর থেকেত আপনাদের তৃতীয় সপ্তাহের এসাইনমেন্ট ইতিমধ্যে প্রকাশ করেছে ।
নবম শ্রেণির ব্যবসায় উদ্যোগ অ্যাসাইনমেন্ট সমাধান ৩য় সপ্তাহ ২০২২
[ads1]

উপরোক্ত চিত্রের মাধ্যমে আপনি দেখতে পাচ্ছেন নবম শ্রেণির ব্যবসায় উদ্যোগ অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর সমাধান ২০২২ এ কি কি বিষয়াবলী রয়েছে। এবার আমরা সমাধান দেখে নিই।
[ads2]
৯ম শ্রেণি ব্যবসায় উদ্যোগ এসাইনমেন্ট উত্তর তৃতীয় সপ্তাহ ২০২২
ইতিমধ্যে আপনার কাঙ্খিত ব্যবসায় উদ্যোগ এসাইনমেন্টের উত্তর সমাধান ২০২২ ৩য় (তৃতীয়) সপ্তাহ প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। অ্যাসাইনমেন্টের সমাধান এখান থেকে শুরু হচ্ছে।
শিরোনাম: ব্যবসায়ের সাথে অর্থনৈতিক উন্নয়নের সম্পর্ক বিশ্লেষণ।
[ads3]
ক. ব্যবসায়ের ধারণা ব্যাখ্যা করতে হবে।
উত্তর:
সাধারণত মুনাফারক উদ্দেশ্যে কপরিচালিত, কনিয়ন্ত্রিত সকল অর্থনৈতিক ককর্মকান্ডকে কব্যবসায় বলে। গত কয়েকদিন আগে কআমি মাঠে কখেলতে গিয়ে ককয়েকজন বন্ধুদের ককাছ থেকে জিঞ্জেস করলাম যে, কতাদের কার কবাবা কি করে। অনেকেই বলল ঔষধের কদোকান, মুদির দোকানক, শাড়ির দোকান, ককসমেটিকস এর দোকান ইত্যাদি পেশায় কনিয়োজিত থাকে। তাদের অভিভাবকদের সবগুলো কঅর্থনৈতিক কাজ ব্যবসায়ের কঅন্তর্ভূক্ত হবে যদি তারা কজীবিকা নির্বাহ ও মুনাফার কআশায় উক্ত কাজগুলো করে কথাকেন।
মূলত মুনাফা অর্জনের কলক্ষ্যে পরিচালিত অর্থনৈতিক ককর্মকান্ডকে ব্যবসায় বলে। কপরিবারের সদস্যদের জন্য কখাদ্য উৎপাদন করা, কহাস-মুরগি কপালন করা, সবজি কচায় করাকে ব্যবসায় কবলা যায় না। ককিন্তু যখন কোনো কৃষক মুনাফার কআশায় ধান চাষ ককরে বা সবজি চাষ ককরাকে ব্যবসায় বলে গণ্য কহবে। তবে মুনাফা অর্জনের কউদ্দেশ্যে পরিচালিত সকল অর্থনৈতিক কর্মকান্ড কব্যবসা বলে গণ্য হবে কযদি সেগুলো দেশের আইনে কবৈধ ও সঠিক উপায়ে পরিচালিত কহয়। ব্যবসায়ের আরও কিছু কবৈশিষ্ট্য আছে যা একে কঅন্য সব পেশা থেকে কআলাদা করেছে।
ব্যবসায়ের সাথে জড়িত পণ্য বা সেবার অবশ্যই আর্থিক মূল্য থাকতে হবে। ব্যবসায়ের আরেকটি বৈশিষ্ট্য হলো এর সাথে ঝুঁকির সম্পর্ক। মূলত মুনাফা অর্জনের আশাতেই ব্যবসায়ী অর্থ বিনিয়োগ করে। ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ডর মাধ্যমে মুনাফা অর্জনের পাশাপাশি অবশ্যই সেবার মনোভাব থাকতে হবে।
খ. বাবসায়ে বৈশিষ্ট্য বর্ণনা করতে হবে।
উত্তর:
ব্যবসায়ের বৈশিষ্ট্য সমূহ:
১. উদ্যোগ গ্রহণ: উদ্যোগ খগ্রহণের মাধ্যমে ব্যবসায় খশরু হয়ে। যেকোনো খব্যবসায় প্রতিষ্ঠার জন্য এক বা একাধীক খব্যক্তি উদ্যোগ গ্রহণ খকরে থাকে। নতুন ব্যবসায় খশুরু করতে চাইলে খউদ্যোগ গ্রহণ করা খুবই খগুরুত্বপূর্ণ। উদ্যোগ হলো, ঝুঁকি খআছে জেনেও মুনাফার খআশায় কষ্টসাধ্য কাজে হাত দেয়া।
আর যিনি ব্যবসায় খউদ্যোগ নেন তাকে উদ্যোক্তা খবলা হয়। তাই উদ্যোগ ও উদ্যোক্তা খএকে অপরের সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত থাকে। খযে কোনো দেশের অর্থনৈতিক খউন্নয়নে উদ্যোগ ও উদ্যোক্তার খগুরুত্বপূর্ণ অপরিসীম। তাই খবলা হয়ে থাকে মানুষের বড় খগুণ হলো উদ্যোগ খগ্রহণ করা। আর উদ্যোগ খগ্রহণের মাধ্যমেই কেবল শিল্পসহ খঅন্যান্য খাতের উন্নয়ন সম্ভব।
২. মুনাফ লাভ: মুনাফা লাভ করা খব্যবসায়ের একটি প্রধান বৈশিষ্ট্যের খমধ্যে পড়ে। যেকোনো ব্যবসায় খপ্রতিষ্ঠান গড়ার মূল উদ্দেশ্যই খহলো মুনাফা অর্জন খকরা। ব্যবসায় একটি ঝুঁকিমূলক খকর্মকাণ্ড, যেখানে খমুনাফা হতে পারে আবার খনাও হতে পারে খঅর্থাৎ অনিশ্চয়তার মধ্যে থাকে। খআর মুনাফাকে ব্যবসায়ের ঝুঁকি খগ্রহণের পুরুষ্কার স্বরুপ বিবেচনা করা হয়। খসুতরাং, যেকোনো ব্যবসায়ের সকল খকর্মকাণ্ড মুনাফা অর্জনের খউদ্দ্যেশ্যে পরিচালিত হতে হবে খতা না হলে এটি খব্যবসাযের অন্তর্ভুক্ত হবে না।
৩. ঝুঁকি ও অনিশ্চয়তা: ব্যবসায়ের সাথে ঝুঁকি খও অনিশ্চয়তা ওতপ্রোতভাবে জড়িতখ। সব ধরণের খব্যবসায়েই ঝুঁকি বিদ্যমান থাকে, খযদি কোনো ব্যবসায়ে খঝুঁকি না থাকে তাহলে খতা ব্যবসায় খবলে গণ্য হবে না। খঝুঁকি হলো প্রত্যাশিত কোনো খকিছু অর্জন না হওয়া খবা আর্থিক ক্ষতির সম্ভাবনা। খআর অন্যদিকে, অনিশ্চয়তা হলো খপ্রত্যাশা যে করছি তা খহতেও পারে নাও খহতে পারে।
যদিও আমরা ঝুঁকির বিপরীতে খবিমা গ্রহণ করে এর খক্ষতির মাত্রা কমাতে খপারি। কিন্তু অনিশ্চয়তার ক্ষেত্রে খকোনো ধরনের বিমা গ্রহণ খকরার সুযোগ নাই। খঝুঁকিকে পরিমাপ করা যায়, এর খবিপরীতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া খযায়।
৪. অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড: সকল গব্যবসায় অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের সাথে গজড়িত থাকে। ব্যবসায়ের সকল গধরনের লেনদেন ও পরিচালনার গকাজে অর্থের ব্যবহার করা গহয়। সুতরাং, যদি কোনো উদ্যোগ গঅর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত থাকে গতাহলে তা ব্যবসায় বলে গবিবেচিত হবে। অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড গব্যবসায়ের একটি অন্যতাম বৈশিষ্ট্যগ।
৫. মূলধন: যেকোনো গব্যবসায়ের শুরু করার গজন্য মূলধন প্রয়োজন, গঅর্থাৎ মূলধন ব্যবসাযের গপ্রাণশক্তি হিসেবে কাজ করে। ব্যবসায়ের গমূলধন সংগ্রহ করাও ব্যবসায়ের একটি গগুরুত্বপূর্ণ কাজ। ব্যবসায়ীগণ ব্যবসাযের গমূলধন সংগ্রহ করে থাকে তাদের গনিজস্ব তহবিল থেকে, ঋণ গগ্রহণের মাধ্যমে বা অন্য গকোনো উৎস হতে।
৬. বৈধতা: প্রতিটি ব্যবসায় গঅবশ্যই বৈধতা হতে হবে গকেননা অবৈধ কর্মকাণ্ডকে ব্যবসায় গবলে বিবেচিত হয় না। তাই ব্যবসায়ের সকল গকর্মকাণ্ডকে বৈধ উপায়ে সম্পাদন গকরতে হয়। যদি কেউ গঅসৎ পথ অবলম্বন ও গঅবৈধ উপায়ে মুনাফ অর্জন করে গতাহলে তার কাজকে ব্যবসায় গবলা যাবে না। যেমনগ: চোরাচালান, অবৈধ গঅস্ত্র, চাঁদাবাজি ইত্যাদি।গ
৭. সংগঠন: ব্যবসায়ের লক্ষ্য অর্জনের জন্য যখন কিছু ব্যক্তি একত্রিত হয় এবং ধারাবাহিকভাবে ব্যবসায়ের সকল কর্মকাণ্ড দক্ষতার সাথে সমন্বয় সাধন করার কাজে নিয়োজিত থাকে তখন তাকে সংগঠন বলা হয়।
৮. ক্রেতা এবং বিক্রেতা: প্রতিটি ব্যবসায়ের লেনদেনের ক্ষেত্রে কমপক্ষে দুটি পক্ষ জড়িত থাকে যেমন: ক্রেতা এবং বিক্রেতা। ব্যবসায়ে ক্রেতা ও বিক্রেতার মধ্যে চুক্তির মাধ্যমে পণ্যদ্রব্য ক্রয়-বিক্রয় হয়ে থাকে।
৯. লেনদেনের পৌনঃপুনিকতা: যেকোনোগ ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে লেনদেন গবারে বারে বা গঅব্যাহতভাবে সম্পাদিত হয়। যেমনগ: একজন আম গব্যবসায়ী যিনি নিয়মিতভাবে আম গক্রয় করেন এবং বিক্রি গকরেন। সুতরাং তিনি গতার ব্যবসায়ে সবসময় আম ক্রয়-গবিক্রয়ের কাজের সাথে জড়িত গথাকেন। কিন্তু কেউ যদি মাঝেমধ্যে গতার গাছের আম বাজারে নিয়ে বিক্রি করেনগ, সবসময় ক্রয়-বিক্রয়ের গসাথে জড়িত থাকেন না, গতাহলে তাকে ব্যবসায়ী বলা গযাবে না।
১০. সামাজিক দায়বদ্ধতা: ব্যবসায়েরগ ক্ষেত্রে সামাজিক দায়বদ্ধতা গরক্ষা করা ব্যবসায়ের একটি অন্যতম গবৈশিষ্ট্য। জনগণের ক্ষতি হয় গএমন কোনো ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান গপরিচালনা করা যাবে না। তাছাড়া ব্যবসায়ীরা গতাদের সামাজিক দায়বদ্ধতা সম্পর্কে খুব গসচেতন থাকে। ব্যবসায়ীরা ব্যবসায়ের গপাশাপাশি সমাজের বিভিন্ন ধরনের গউন্নয়নমূলক কাজের সাথে জড়িত থাকেনগ। সুতরাং ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে সামাজিক গদায়বদ্ধতা রক্ষা করা একটি গগুরুত্বপূর্ণ কাজ।
গ. ব্যবসায়ের প্রকারভেদ
উত্তর:
মুনাফা অর্জনের লক্ষ্যে গপণ্যদ্রব্য ও সেবাকর্ম উৎপাদনের গমাধ্যমে উপযোগ সৃষ্টি এবং গমানুষের অভাব (বস্তুগত ও অবস্তুগত) পূরণের গলক্ষ্যে সেগুলো বণ্টন গএবং এর সহায়ক গসবরকম বৈধ কার্যকে গব্যবসা বলে।
আধুনিক ব্যবসাকে প্রধানত তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে। যথা:
০১) শিল্প ০২) বাণিজ্য ০৩) প্রত্যক্ষ সেবা
তবে ব্যবসায় মূলত চারভাগে বিভক্ত। যথা:
০১) একমালিকানা ০২) অংশীদারি ০৩) কোম্পানি ০৪) সমবায়
ঘ. ব্যবসায়ের গুরুত্ব
উত্তর:
মুনাফা অর্জনের উদ্দেশ্যে পরিচালিত বৈধ অর্থনৈতিক কাজ (পণ্য উৎপাদন, ক্রয়, বিক্রয়, পরিবহন প্রভৃতি) করা হলো ব্যবসায়।
এর মাধ্যমে ঘমুনাফা অর্জন করে মানুষ ঘতার আয় বাড়াতে পারে। আর ঘব্যবসায়িক কাজ বিস্তৃত হলে ঘনতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি ঘহয়। ফলে মানুষের মাথাপিছু ঘজাতীয় আয় বাড়ার সম্ভাবনা ঘথাকে। এতে জীবন যাত্রার ঘমান উন্নয়ন হয়। এছাড়া ঘব্যবসায় এর মাধ্যমে ঘআন্তর্জাতিক সম্পর্কের উন্নয়ন হয়। ঘএজন্য বর্তমান বিশ্বে ব্যবসায়ের ঘগুরুত্ব অপরিসীম।
ব্যবসায় অর্থ “ব্যস্ত থাকা” অর্থাৎ ব্যবসায় সেই ঘসমস্ত মানবিক ক্রিয়াকালাপের সাথে ঘসম্পর্কিত যেখানে মুনাফা অর্জনের উদ্দেশ্যে পণ্য ঘও সেবা উৎপাদন ও বণ্টনের ঘকাজে নিয়োজিত থাকে। একটি ঘজাতির অর্থনৈতিক উন্নয়নে এবং জনগণের জীবনযাত্রার ঘমান উন্নয়নের জন্য ব্যবসায়ের গুরুত্ব ঘঅপরিসীম। আজকের ব্যবসায়ের বড় ঘপরিধির জন্য আমরা আমাদের চাহিদা পূরণের ঘমাধ্যমে সুন্দর জীবনযাপন করতে ঘপারছি।
আমরা জানি, ব্যবসায় একটি অর্থনৈতিক ক্রিয়াকলাপ, যা মানুষের সীমাহীন চাহিদাগুলি পূরণের জন্য প্রতিনিয়ত নতুন নতুন পণ্য ও সেবা উৎপাদন করে বাজারজাত করছে। আসুন জেনে নেই, ব্যবসায় কাকে বলে? মুনাফা অর্জনের উদ্দেশ্যে উৎপাদন ও বণ্টনসহ সকল বৈধ অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডকে ব্যবসায় বলে। ব্যবসায় অবশ্যই বৈধ উপায়ে হতে হবে অর্থাৎ আপনি তখনই কোনো কাজকে ব্যবসায় বলতে পারবেন যদি এটি বৈধ ও মুনাফা অর্জনের জন্য পরিচালিত হয়।
ব্যবসায়ের গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা:
১. পণ্যদ্রব্য ও সেবাকর্ম উৎপাদন:
ব্যবসায় মানুষের ঘচাহিদা পূরণের জন্য নতুন নতুন পণ্য ও সেবা উৎপাদন করে ঘবাজারজাত করে। বর্তমানে আমরা আমাদের প্রয়োজনীয় ঘজিনিসপত্র খুব সহজেই বাজার থেকে ক্রয় ঘকরে ভোগ করতে পারছে তা কেবল ঘব্যবসায়ের জন্য। আমাদের জীবনকে ঘআরো সহজ ও সুন্দর করতে ঘব্যবসায় নানান ধরনের পণ্য ও সেবা ঘউৎপাদন করে যাচ্ছে।
২. প্রাকৃতিক সম্পদের সঠিক ব্যবহার:
প্রাকৃতিক সম্পদ প্রকৃতির ঘএক বড় উপহার। প্রাকৃতিক সম্পদ ঘব্যবহারের জন্য ব্যবসায় ঘএকটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছে। প্রাকৃতিক সম্পদ যেমন: ঘখনিজ পদার্থ, বনজ সম্পদ, পানি সম্পদ ঘইত্যাদির যথাযথ ও দক্ষ ব্যবহারের মাধ্যমে নতুন উপযোগ তৈরি করছে। ব্যবসায় প্রাকৃতিক সম্পদের এমনভাবে ঘব্যবহার করে যা পুরো ঘমানবজাতির উপকারে কাজে আসে।
৩. দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন:
ব্যবসায় দেশের ঘঅর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। ব্যবসায়ের ঘমাধ্যমে শিল্প ও বাণিজ্যের ঘপ্রসার ঘটে যার ফলে দেশের মানুষের চাহিদা পূরণের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক পর্যায়ে পণ্য ও পরিষেবার বিনিময়ে অবদান রাখে। বিদেশে পণ্যসমূহ রপ্তানি করে বৈদেশিকঘ মুদ্রা অর্জনে বড় অবদান রাখে। সুতারাং বলা যায় ঘব্যবসায়ের ফলে দেশের মধ্যে মূলধন গঠিত হয়, সঞ্চয় ঘবৃদ্ধি পায় যার মাধ্যমে দেশেরঘ জাতীয় আয় বৃ্দ্ধি পায়।
৪. জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন:
জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন বলতে বুঝায় সুস্থ্য ও স্বচ্ছন্দ্য জীবনযাপন করা। একটি ব্যবসায় জনগনের কর্মসংস্থানের সুযোগ দেয় যার মাধ্যমে তাদের ক্রয়ক্ষমতা ও মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি পায়, যা তাদের জীবনযাত্রার মান উন্নত করতে পারে।
৫. কর্মসংস্থান:
ব্যবসায় কর্মসংস্থানের একটি অন্যতম উৎস। এটি দেশের বিপুল সংখ্যক জনগনের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করে। ব্যবসায়ের পরিচালনা করার জন্য এবং প্রযুক্তিগত কাজের ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরণের কর্মচারীর প্রয়োজন হয়। যেমন: হোটেল, শিল্প এবং পরিবহন সংস্থার মতো অনেক ধরণের ব্যবসায়িক হাউস ব্যবসায়ের জন্য প্রতিষ্ঠিত হয় যা পরিচালনার জন্য প্রয়োজন অনেক কর্মচারী বা শ্রমিকের। সুতরাং, ব্যবসায় দেশের বেকার সমস্যা সমাধানে সহায়তা করে।
৬. সরকারের রাজস্ব বৃদ্ধি:
ব্যবসায় সরকারের রাজস্বের একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎস। ব্যবসায়কে নানন ধরনের কর প্রদান করতে হয় যেমন: আয়কর, বিক্রয় কর ইত্যাদি। এইসব কর সংগ্রহ করার মাধ্যমে সরকারের অর্থনেতিক অবস্থার তরান্বিত হয়। সুতরাং, সকল কর সরকারী রাজস্বতে অবদান রাখে এবং দেশের উন্নয়নেও সহায়তা করে।
৭. বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জন:
ব্যবসায় বিদেশে পণ্য ও সেবা রপ্তানি করে প্রচুর পরিমাণে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে। যেমন: বাংলাদেশের পোশাক শিল্প, বাংলাদেশে থেকে বিভিন্ন দেশে পোশাক রপ্তানি করে প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করছে বিভন্ন ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান। আমরা জানি, যে দেশ যত বেশি রপ্তানি করে সে দেশ তত বেশি অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির দিকে এগিয়ে যায়। সুতারাং, নতুন নতুন শিল্পের প্রসারের মাধ্যমে দেশীয় পণ্য উৎপদান করে তা বিদেশে রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জন করা যায়।
৮. যোগাযোগ ও পরিবহন ব্যবস্থার উন্নয়ন:
দেশের ব্যবসায় বাণিজ্যের সঠিক বিকাশের জন্য প্রয়োজন সঠিক যোগাযোগ ব্যবস্থা ও পরিবহন সংস্থা। তাই সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে দেশের যোগাযোগ ও পরিবহন ব্যবস্থার উন্নয়ন ঘটানো হয়। যার ফলে ব্যবসায়ের কাঁচামাল ও পণ্যসামগ্রী সুষ্ঠভাবে আনায়ন করা যায় এবং ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের প্রসার ঘটে।
৯. আন্তর্জাতিক সম্পর্ক:
আন্তর্জাতিক সম্পর্কের বিকাশের জন্য ব্যবসায় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। এর মাধ্যমে জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্কের বিকাশের ঘটে। এটি বিভিন্ন দেশের সাথে ভালো সম্পর্ক তৈরিতে ও বজায় রাখতে সহায়তা করে। তাছাড়া, দেশগুলির মধ্যে পারস্পরিক সমঝোতা এবং উন্নত কূটনৈতিক সম্পর্ক সৃষ্টি হতে সাহায্য করে। আমদানি ও রফতানি হলো আন্তর্জাতিক সম্পর্কের প্রধান ভিত্তি। আর এই আমদানি ও রপ্তানি সৃষ্টি হয় ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে।
১০. স্বনির্ভরতা:
ব্যবসায় দেশ ও ব্যক্তিদের স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনে সহায়তা করে। এটি নির্ভরতা হ্রাস করে এবং মানুষের জীবনযাত্রার মানোন্নয়নেও সহায়তা করে। সুতরাং, দেশে ব্যবসায়ের বিকাশ স্বাবলম্বিতা, স্বনির্ভরশীলতা এবং আত্ম-সম্মান নিশ্চিত করে।
১১. বাজারের প্রসার:
বর্তমান আধুনিক বিশ্বে গ্রাহকদের প্রয়োজন বা চাহিদা অনুযায়ী পণ্য ও সেবা তৈরি করা হয়। সুতরাং, গ্রাহকদের স্বাদ এবং ক্রয় ক্ষমতা অনুযায়ী পণ্যগুলি বিকাশের জন্য দেশের অভ্যন্তরে এবং বাইরে উভয়ই গ্রাহকদের সন্তুষ্ট করার চেষ্টা করা হয়। যার ফলে বিশ্বজুড়ে গ্রাহকের সংখ্যা বৃদ্ধির কারণে বাজারের প্রসার ও বৃদ্ধি পেয়েছে। পূর্বে দেশের অভ্যন্তরে পণ্য ও সেবা বাণিজ্য হতো যার ফলে বাজারও ছোট ছিল কিন্তু বর্তমানে বিদেশী গ্রাহকদের জন্যও পণ্য ও সেবা উৎপাদন করা হয় যার ফলে বৈদেশিক বাণিজ্যের প্রসার ঘটেছে।
১২. ব্যাংক ও বিমা:
ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের বৃদ্ধির ফলে নিরাপদ লেনদেন এবং ঝুঁকি হ্রাসের প্রয়োজন পড়ে যার ফলে সৃষ্টি হয় ব্যাংক ও বিমা। ব্যাংক ও বিমা প্রতিষ্ঠার ফলে দেশের মধ্যে সঞ্চয় ও মূলধন বিনিয়োগ বৃদ্ধি পায়।
১৩. সভ্যতা ও সংস্কৃতি:
ব্যবসায় এখন আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্রসার ঘটেছে যার ফলে এক দেশের সাথে অন্য দেশের সম্পর্ক তৈরি হয়। ফলে বিভিন্ন দেশের সভ্যতা ও সংস্কৃতির আদান প্রদানের পথ প্রসারিত হয়।
১৪. নগরায়ন:
ব্যবসায় প্রতিষ্টান বৃদ্ধির ফলে এখন মানুষ বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা পাচ্ছে। কেউ অসু্স্থ হলে এখন আর পূর্বের মতো মূল শহরে থেকে সেবা নেওয়া প্রয়োজন পড়ে না। গ্রামে থেকেও মানুষ নানান সুযোগ সুবিধা পাচ্ছে যার ফলে নগরায়নের উদ্ভব হচ্ছে।
সুতরাং যেকোনো দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য ব্যবসায়ের গুরুত্ব অপরিসীম। তাছাড়াও ব্যবসায় একটি দেশের অর্থনীতির পক্ষে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কারণ ব্যবসায়গুলি পণ্য এবং পরিষেবা সরবরাহ করে। এটি দেশের মানুষের চাহিদা পূরণ করে এবং চাকরি সরবরাহ করে।
আশাকরছি আপনি ইতিমধ্যে আপনার কাঙ্খিত অ্যাসাইনমেন্টের সমাধান পেয়ে গেছেন। তবে আর দেরী কেন? পোষ্টটি সহপাঠীর সাথে শেয়ার করে দিন।
নবম শ্রেণীর সকল এসাইনমেন্টের সমাধান পেতে নিচের লিঙ্কে চাপুন।
[ads4]