অষ্টম (৮ম) শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় অ্যাসাইনমেন্ট সমাধান ২০২২ (২য় সপ্তাহ)

আপনি কি অষ্টম (৮ম) শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর সমাধান ২০২২ ২য় সপ্তাহ -১০০% নির্ভুল অনুসন্ধান করে চলেছেন? তবে আপনি সঠিক জায়গায় এসেছেন। 13 ফেব্রুয়ারী 2022 সালে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে আপনাদের দ্বিতীয় সপ্তাহের অষ্টম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় অ্যাসাইনমেন্ট সমাধান ২০২২ প্রকাশ করেছে । ৮ম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় এসাইনমেন্ট উত্তর ২০২২ ।

অষ্টম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় অ্যাসাইনমেন্ট সমাধান ২০২২

চলুন প্রথমে এক নজরে নিম্নোক্ত চিত্রে দেখে নেওয়া যাক এসাইনমেন্টের সূচিতে কি রয়েছে।

[ads1]

অষ্টম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় অ্যাসাইনমেন্ট সমাধান ২০২২
অষ্টম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় অ্যাসাইনমেন্ট সমাধান ২০২২

উপরোক্ত চিত্রের মাধ্যমে আপনি দেখতে পাচ্ছেন অষ্টম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় অ্যাসাইনমেন্ট সমাধান ২০২২ সম্পন্ন করার জন্য আপনাকে কি কি পন্থা অবলম্বন করতে হবে। চলুন এবার আমরা সরাসরি সমাধানে চলে যাই।

৮ম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় এসাইনমেন্ট উত্তর ২০২২

ইতিমধ্যে আপনার কাঙ্খিত ৮ম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় এসাইনমেন্ট উত্তর ২০২২ প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। এসাইনমেন্টের সমাধান এখান থেকে শুরু হচ্ছে……. 

[ads2]

বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়ের পাশাপাশি সাহিত্য কণিকা বই থেকে এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’ রচনাটি পড়। রচনায় উল্লিখিত সালগুলাের সাথে সংশ্লিষ্ট ঘটনাবলিসহ একটি ফ্লোচার্ট তৈরি করাে। 

উত্তর: 

[ads3]

৮ম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় এসাইনমেন্ট উত্তর ২০২২
৮ম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় এসাইনমেন্ট উত্তর ২০২২

৭ই মার্চের ভাষণের গুরুত্ব ব্যাখ্যা করাে। 

উত্তর: 

[ads4]

এ ভাষণের মধ্য0 দিয়ে বাঙালি জাতি 0বিশ্ব ইতিহাসে নতুন এক শিকরে পৌঁছে যায়। ৭ মার্চ 0বঙ্গবন্ধুর উদ্দীপ্ত ঘোষণায় বাঙালি 0জাতি পেয়ে যায় স্বাধীনতা ও 0গেরিলাযুদ্ধের দিক-নির্দেশনা। এর পরই 0দেশের মুক্তিকামী মানুষ ঘরে ঘরে 0চূড়ান্ত লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিতে শুরু 0করে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের 0এ বজ্র নিনাদে আসন্ন মহামুক্তির 0আনন্দে বাঙালি জাতি উজ্জীবিত হয়ে 0ওঠে। যুগ যুগ ধরে শোষিত-0বঞ্চিত বাঙালি ইস্পাতকঠিন দৃঢ়তা নিয়ে এগিয়ে 0যায় কাঙ্ক্ষিত মুক্তির লক্ষ্যে। বঙ্গবন্ধুর ৭ 0মার্চের ভাষণে রাজনৈতিক দিক-0নির্দেশনার পথ ধরেই ৯ মাসের 0রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে লাখো প্রাণের বিনিময়ে 0বিশ্বমানচিত্রে আত্মপ্রকাশ করে স্বাধীন সার্বভৌম 0বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের 0ভাষণের গুরুত্ব নিচে তুলে 0ধরা হলো :

১. গণতন্ত্রের ডাক : বঙ্গবন্ধু তার 0১০৯৫ তথা ১১০৮ শব্দের ভাষণে 0গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা এবং দেশের শাসনতন্ত্র তৈরির আকুল 0আবেদন ও তীব্র আকাঙ্খা পেশ করেন0। তিনি বলেন, 0নির্বাচনের পর বাংলাদেশের মানুষ সম্পূর্ণভাবে 0আমাকে ও আওয়ামী লীগকে ভোট দেন0। আমাদের ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি বসবে, আমরা সেখানে 0শাসনতন্ত্র তৈরি করবো এবং এ 0দেশকে আমরা গড়ে তুলবো’।গণতন্ত্র 0প্রতিষ্ঠায় তার এ ভাষণের গুরুত্ব 0অপরিসীম।

২. বৈষম্যের ইতিহাস উপস্থাপন : বঙ্গবন্ধু ভাষণের প্রথম 0পাকিস্তান আমলের দীর্ঘ তেইশ বছরের 0বৈষম্যমূলক ইতিহাস তুলে ধরেন0। ১৯৪৭ সালে ভারতবর্ষ বিভক্তির মধ্য 0দিয়ে পাকিস্তান রাষ্ট্রের জন্ম হওয়ার পর 0থেকে পশ্চিম পাকিস্তান তৎকালীন 0পূর্ব পাকিস্তানকে শোষণ ও শাসন 0করতে থাকে, গড়ে ওঠে বৈষম্যের পাহাড়। 0সামরিক বাহিনীর তিনটি সদর দপ্তরই ছিল 0পশ্চিম পাকিস্তানে। সেনাবাহিনীতে ৯৫ ভাগই ছিল 0পশ্চিম পাকিস্তানি, অর্থনৈতি 0ক্ষেত্রে এ বৈষম্য ছিল আরও 0ব্যাপক।

৩. নির্যাতনের পর্ণাঙ্গ চিত্র : বঙ্গবন্ধুর ভাষণে বাঙালি জাতির ‍ওপর দীর্ঘ 0তেইশ বছরে যে নির্মম নির্যাতন চালানো 0হয়েছে তার চিত্র ফুটে 0উঠেছে। জাতির 0জনক তার ভাষণের তৃতীয় লাইনেই বলেন 0কিন্তু দুঃখের বিষয় আজ ঢাকা, 0চট্টগ্রাম রাজশাহী রংপুরে আমার ভাইয়ের 0রক্তে রাজপথ রঞ্জিত হয়েছে- তিনি 0ভাষণে পাকিস্তানী শাসকগোষ্ঠীর ২৩ বছরের শাসনামলকে বাংলার 0মানুষের রক্তের ইতিহাস হিসেবে উল্লেখ 0করেন।

৪. সংগ্রামী চেতনার ডাক : স্বায়ত্তশাসন ও স্বাধিকারের দাবিতে 0বাঙালি জাতি যে সংগ্রামের 0সূচনা করে 0আত্মাহুতি দেয় বঙ্গবন্ধু তার 0ভাষণে তা তুলে ধরেছেন0। নানাদিক থেকে বঞ্চিত, 0নিপীড়িত, লাঞ্ছিত জনগণ তাদের দাবি 0মেনে নেয়ার জন্য আন্দোলন চালাতে থাকে। মৃত্যুর 0মুখেও নির্ভয়ে এগিয়ে যায় 0এবং রক্তে রঞ্জিত হয় রাজপথ0। দেশকে মুক্ত করার জন্য জনগণ নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলন 0চালালেও পাক সামরিক বাহিনী 0গুলি চালায় নিরীহ জনগণের ওপর0। তবুও সংগ্রামী জনগণ পিছপা হয়নি।

৫. বাঙালি জাতীয়তাবাদ : বঙ্গবন্ধু তার 0ভাষণে বাঙালি জাতীয়তাবাদের চেতনা ফুটিয়ে 0তুলেছেন। তিনি বাঙালি 0জাতীয়তাবাদ প্রতিষ্ঠায় হিন্দু, মুসলমান, বাঙালি, 0অবাঙালি সবার কথাই বলেছেন। 0বঙ্গবন্ধু ৭ মার্চের ভাষণে বাঙালি জাতীয়তাবাদ যেভাবে 0ফুটিয়ে তুলেছেন, তা আজ 0পর্যন্ত বিশ্বের কোনো নেতা করতে 0পারেনি। তিন সেদিন সমগ্র বাঙালি জাতির মধ্যে একতার 0জলন্ত শিখার বিস্ফোরণ ঘটাতে সক্ষম হয়েছিলেন 0তার সম্মোহনী বক্তব্যের মাধ্যমে, যা 0পরবর্তীতে স্বাধীনতা যুদ্ধের 0প্রধান হাতিয়ার হিসেবে কাজ 0করেছিল।

৬. গেরিলা যুদ্ধের নির্দেশনা : তিনি অস্ত্রে সজ্জিত পাকিস্তানি 0হানাদার বাহিনীর আক্রমণকে প্রতিহত 0করে বিজয় ছিনিয়ে আনতে যে 0কৌশল প্রয়োগের নির্দেশনার দিয়েছেন তা, 0খুবই গরুত্ববহ। তিনি বলেন, 0‘প্রত্যেক ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তোল, তোমাদের 0যা কিছু আছে তাই নিয়ে শত্রুর মোকাবিলা 0করতে হবে, রাস্তাঘাট যা যা আছে 0আমি যদি হুকুম দেবার না পারি তোমরা বন্ধ 0করে দেবে, আমরা ভাতে মারব, আমরা 0পানিতে মারব’

০৭ . মুক্তি সংগ্রামের ঘোষণা : জাতির 0জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ৭ মার্চের ভাষণে এই বলে 0মুক্তির সংগ্রাম ঘোষণা করেছিলেন যে, 0এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম, 0এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’0তার এই নিষ্কম্প ঘোষণা বাঙালি জাতিকে 0মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে প্রেরণা দিয়েছিল। জাতির উদ্দেশ্যে 0এই ছিল তার যুদ্ধপূর্ব শেষ 0ভাষণ। তাই এতে তিনি যুদ্ধের দিকনির্দেশনা 0দিয়ে পস্তুতির কথা বলেছিলেন। তখন 0বাঙালির হাতে কোনো অস্ত্র ছিল না। তাই 0যার যা আছে তা নিয়ে ঘরে ঘরে দুর্গ 0গড়ে তোলার আহ্বান জানান। 0তার এই সংগ্রাম ঘোষণায় যে পশ্চিমাদের অত্যাচার বৃদ্ধি 0পাবে তা তিনি ধারণা করেছিলেন। 0সেজন্য তৎকালীন হানাদার শাসকদের সঙ্গে সম্পূর্ণ 0অসহযোগিতা প্রদর্শনের নির্দেশ দেন। তিনি 0তার অনন্য ভাষণে মুক্তিসংগ্রামের যৌক্তিকতা 0তুলে ধরেছিলেন।

উপসংহার : পরিশেষে 0বলা যায়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব 0১৯৭১ সালের ৭ মার্চ ঢাকার ঐতিহাসিক 0রেসকোর্স ময়দানে প্রায় ১০ লাখ 0জনতার সামনে যে তেজোদ্বীপ্ত জ্বালাময়ী 0কাব্যিক ভাষণ দিয়েছিলেন তা বাঙালির 0মনে আগুন ধরিয়ে দিয়েছিল। 0বাঙালিকে স্বাধীনতা লাভের জন্য উন্মত্ত 0করেছিল্ বাংলার মানুষ বর্ণ-0গোত্র ও ধর্ম ভুলে গিয়ে দেশের 0জন্য হাসিমুখে জীবন দিতে 0শপথ করেছিল। ইউনেস্কো এ ভাষণকে 0পৃথিবীর গুরুত্বপূর্ণ দালিলিক ঐতিহ্য হিসেবে 0স্বীকৃতি দেয়ার এর মাধুর্য, 0শ্রেষ্ঠত্ব ও গরুত্ব এবং বাঙালি জাতির সংগ্রামের 0ইতিহাস এখন পৃথিবীর নানা প্রান্তে-ছড়িয়ে বহু-0ভাষী মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়বে। 0এটি এখন শুধু বাংলাদেশের নয় 0বরং সারা বিশ্বের সম্পদে পরিণত 0হয়েছে। বিশ্ব সংস্থার স্বীকৃতির মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী 0গবেষণা হবে, বিশেষ করে জ্ঞানান্বেষী 0তরুণ সমাজের মনে এটি 0স্থান পাবে।

অষ্টম শ্রেণির ২য় সপ্তাহ সকল এসাইনমেন্টের সমাধান পেতে এখানে চাপুন

[ads5]

অষ্টম (৮ম) শ্রেণির ইংরেজি অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২২ (২য় সপ্তাহ)

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *