পাঠ্য বইয়ের সাধু ভাষারীতির রচনাকে চলিত ভাষা রীতিতে রূপান্তর করা (উত্তর)

আপনি কি ষষ্ঠ (৬ষ্ঠ) শ্রেণির বাংলা অ্যাসাইনমেন্ট পাঠ্য বইয়ের সাধু ভাষারীতির রচনাকে চলিত ভাষা রীতিতে রূপান্তর করা ব্যাখা বা উত্তর সমাধান ২০২২ ২য় সপ্তাহ ১০০% নির্ভুল অনুসন্ধান করে চলেছেন? তবে আপনি সঠিক জায়গায় এসেছেন। মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে আপনাদের তৃতীয় সপ্তাহের এসাইনমেন্ট ইতিমধ্যে প্রকাশ করেছে ।
Table of Contents
ষষ্ঠ শ্রেণির বাংলা অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২২ (৩য় সপ্তাহ)
প্রথমে আমরা দেখে নিই অ্যাসাইনমেন্টে কি কি রয়েছে- নিম্নোক্ত চিত্রে সুন্দরভাবে ষষ্ঠ শ্রেণির বাংলা অ্যাসাইনমেন্ট সমাধান ২০২২ কিভাবে করবেন তা পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে উল্লেখ করা আছে।
এসাইনমেন্টের শিরোনাম অনুযায়ী মূল্যায়ন নির্দেশিকা গুলো হেডিং আকারে দিয়ে সমাধান করা হলো। অ্যাসাইনমেন্টের উত্তর এখান থেকে শুরু হচ্ছে।
শিরোনাম: পাঠ্য বইয়ের সাধু ভাষারীতির রচনাকে চলিত ভাষা রীতিতে রূপান্তর করা
ক) সাধু ও চলিত ভাষারীতির ধারণা
সাধু ভাষা | চলতি ভাষা |
---|---|
যে ভাষাক রীতিতে কক্রিয়া ও কসর্বনাম পদ কপূর্ণরূপে বিদ্যমান থাকে কতাকে কসাধুভাষা বলে। | যে কভাষায় ক্রিয়াপদ ও কসর্বনাম পদ ছোট কসন্ধি ও সমাস ককযুক্ত পদ প্রায় কনেই বললে বলে কতাকে চলিত ভাষা কবলে। |
তৎসম কবা সংস্কৃত কশব্দের ব্যবহার কবেশি। | তদ্ভব ও দেশি – কবিদেশি শব্দের ব্যবহার কবেশি। |
সমাপিকা ও কঅসমাপিকা ক্রিয়ার কদীর্ঘায়িত রূপ ব্যবহার হয় । কযেমন- করিতেছে , কযাইতেছে , চলিতেছে (সমাপিকা ক্রিয়া) কইত্যাদি ।
খাইয়া , কধরিয়া , কযাইয়া (অসমাপিকা ক্রিয়া) ইত্যাদি। |
সমাপিকা ও কঅসমাপিকা ক্রিয়াপদের সংক্ষিপ্ত রূপের কব্যবহার । যেমন ককরছে , কচলছে , যাচ্ছে (কসমাপিকা ক্রিয়া) ইত্যাদি ।
খেয়ে , ধরে , কযেয়ে (অসমাপিকা কক্রিয়া) ইত্যাদি । |
সর্বনাম কপদের পূর্ণরূপ কব্যবহার করা হয় ।
যেমনঃ তাহার , কযাহার , ইহা , কউহা ইত্যাদি । |
সর্বমান কপদের সংক্ষিপ্ত করূপ ব্যবহার করা কহয় । যেমনঃ তার , যার , এ , ও ইত্যাদি। |
খ) “ সততার পুরস্কার ” গল্প থেকে দশটি বাক্য লিখে চলিত ভাষায় রূপান্তর ।
১ । সাধুভাষা : তারপরখ স্বর্গীয় দূত পূর্বে যে খটাকওয়ালা ছিল , তাহার কাছে খগেলেন । চলিতভাষা : তারপর খস্বগীয় দূত আগে যে খটাকওয়ালা ছিল , তার খকাছে গেলেন ।
২ । সাধুভাষা : সেখানে গিয়ে খআগের মতো একটি খগাভি চাহিলেন । চলিতভাষা : সেখানে গিয়ে খআগের মত খএকটি গাভি খচাইলেন ।
৩। সাধুভাষা : সেও ধবল খরোগীর মতো তাহাকে খকিছুই দিলনা । চলিতভাষা : সেও খধবল রোগীর মতো তাকে কিছুই খদিলোনা ।
৪। সাধুভাষা : তখন স্বর্গীয় খদূত বলিলেন , আচ্ছা , যদি খতুমি মিথ্যা বলিয়া থাক , তবে খযেমন ছিলে আল্লাহ তোমাকে আবার খতেমনি খকরিবেন । চলিতভাষাঃ তখন স্বর্গীয় দূত বললেন , যদি তুমি খমিথ্যা বলে থাক , তবে যেমন খছিলে আল্লাহ তোমাকে খআবার তেমন খকরবেন ।
৫। সাধুভাষা : তারপর স্বর্গীয় দূত খপূর্বে যে খঅন্ধছিল , তাহার খকাছে গিয়ে খবলিলেন , আমি এক খবিদেশি । চলিতভাষা : তারপর স্বর্গীয়দূত খআগে যে অন্ধছিল , খতার কাছে খগিয়ে বললেন , আমি খএক বিদেশি ।
৬। সাধুভাষা : বিদেশে খআমার সম্বল খফুরাইয়া গিয়াছে। চলিতভাষা : বিদেশে আমার খসম্বল ফুরিয়ে খগেছে ।
৭। সাধুভাষা : ইহাতে খতোমার ভাগ্য খুলিবে। খচলিতভাষা : এতে খতোমার ভাগ্য খখুলবে ।
৮ । সাধুভাষা : যিনি খতোমার চক্ষু খভালো করিয়া দিয়াছেন , আমি খতোমাকে সেই আল্লাহর খদোহাই দিয়া একটি ছাগল চাহিতেছি । চলিতভাষা : যিনি খতোমার চোখ ভালো খকরে দিছেন , আমি খতোমাকে সে আল্লাহর খদোহাই দিয়ে একটি ছাগল খচাচ্ছি ।
৯। সাধুভাষা : আমি সেই ছাগল খবেচা টাকা দিয়া দেশে খফিরিয়া যাইতে পারি । চলিতভাষা : আমি সেই খছাগল বেচা টাকা দিয়ে খদেশে ফিরে খযেতে পারি ।
১০। সাধুভাষা : আল্লাহ তোমার উপর খুশি হইয়াছেন , আর তাহাদের খউপর বেজার হইয়াছেন । চলিতভাষা : আল্লাহ তোমার উপর খুশি হয়েছেন , আর তাদের উপর বেজার হয়েছেন ।
গ) লিখিত দশটি বাক্য থেকে সাধু ও চলতি ভাষার সর্বনামের পার্থক্য ছকে দেখানো হলোঃ-
সাধু ভাষা | চলতি ভাষা |
---|---|
তাহারগ | তারগ |
তাহাকে | তাকেগ |
তাহাদের | তাদেরগ |
কাহারোগ | কারোগ |
ইহারগ | এরগ |
ইহাতে | এতেগ |
ঘ) লিখিত দশটি বাক্য থেকে সাধুভাষা ও চলিতভাষার ক্রিয়ার পার্থক্য ছেকে দেখানো হলেঃ-
সাধু ভাষা | চলতি ভাষা |
---|---|
চাহিলেনগ | চাইলেনগ |
বলিলেন | বললেনগ |
ফুরাইয়া | ফুরিয়ে |
দিয়াছেনগ | দিছেনগ |
খুলিবেগ | খুলবেগ |
হইয়াছেন | হয়েছেনগ |
আমরা খুব দ্রুত আপনাদের মাঝে সমাধান দিয়ে দিলাম । আশাকরছি আপনি ইতিমধ্যে পাঠ্য বইয়ের সাধু ভাষারীতির রচনাকে চলিত ভাষা রীতিতে রূপান্তর করা নিয়ে এর সমাধান পেয়ে গেছেন। লিংকটি আপনার সহপাঠির ইনবক্সে শেয়ার করে রাখুন এতে করে পরে খুঁজে পেতে সহজ হবে।
ষষ্ঠ শ্রেণীর সকল এসাইনমেন্টের সমাধান পেতে নিচের লিঙ্কে চাপুন।