অনেকাংশে এটি একটি ফাঁদ। সৌদি আরবের ফ্রি ভিসা বলতে আসলে কোন নির্ভরযোগ্য ভিসা নেই। এই ভিসার ক্ষেত্রে শ্রমিকদের বুঝানো হয় যে আপনি যেখানে খুশি কাজ করতে পারবেন। প্রকৃতপক্ষে সৌদিতে যে পরিবার গুলোর ড্রাইভার-দারোয়ান ইত্যাদি নেওয়ার সামর্থ্য আছে তারা বাংলাদেশি রিক্রুটিং এজেন্সি গুলোর সাথে হাত করে চুক্তির মাধ্যমে শ্রমিক নিয়ে থাকে। সেক্ষেত্রে পরিবার গুলো যেমন রিক্রুটিং এজেন্সি থেকে টাকা পেয়ে থাকে তেমন শ্রমিকদের কাছে তারা তাদের বেতনের কিছু অংশও দাবি করে বসে অনেক সময়। সৌদি আরবে ফ্রি ভিসা নামক প্রতারণা নিয়ে আরও জানুন বিস্তারিত এখান থেকে।
অর্থাৎ তারা নেওয়ার পর উক্ত প্রবাসী শ্রমিক অন্য যেখানেই চাকরি করুক না কেনো তার বেতনের কিছু অংশ স্পন্সরকে দিয়ে দিতে হবে৷ তা না হলে অনেক সময় সে পুলিশ কে জানিয়ে দেয়।
যার ফলে চাকরি না পেয়ে বা পলাতক থাকতে গিয়ে অনেক ক্ষেত্রে কষ্টকর জীবন-যাপন করেন শ্রমিকরা। অনেক সময় তাদের বেতন কম হয় তাই নিজের চাহিদা মেটানোর পর সে বাকিটা স্পন্সর কে দিয়ে দেয় যার ফলে দেশে কোন টাকা পাঠানো সম্ভব হয় না।
সৌদি আরবে ফ্রি ভিসা যেহেতু গৃহস্থালি কাজ ছাড়া অন্য কোন কাজ করার অনুমতি থাকে না তাই সে দেশে গিয়ে অন্য কাজ করলে সেটি অবৈধ হবে। পুলিশ ধরে নিয়ে আবার দেশে ফেরত পাঠাবে। তাই সৌদিতে ফ্রি ভিসায় না যাওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ।
বর্তমান করোনা ভাইরাসের কারণে ফ্রি ভিসা খোঁজাও অনেক কষ্টকর হয়ে পড়েছে তাই এতে রয়েছে জীবন-জীবিকার ঝুঁকি।
পরিশেষে বলা যায়, কষ্ট করে টাকা দেনা করে আমাদের দেশের বিপুক সংখ্যক শ্রমিক প্রতিবছর ফ্রি ভিসা মাধ্যমে যাচ্ছে৷ যাদের মধ্যে অনেককেই আবার ফেরত আসতে হয় নানা জটিলতায়। তাই আপনি যাওয়ার আগে ভালো করে জেনে নিন আপনার ভিসাটি কেমন, মাসে কত অংশ দিতে হবে,কি কাজের ভিসা ইত্যাদি।
সৌদি আরবে ফ্রি ভিসা নাকি প্রতারণা এ সম্পর্কিত আমাদের এই পোষ্ট আপনার কেমন লেগেছে জানাতে ভুলবেন না । আপনার কোনো প্রশ্ন থাকলে কমেন্ট বক্সে জানাবেন। আমাদের নিয়মিত আপডেট পেতে গুগল নিউজে ফলো করুন। ধন্যবাদ পোষ্টটি পড়ার জন্য। ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।