হুমায়ূন আহমেদের দুঃখের উক্তিঃ হুমায়ূন আহমেদ ছিলেন একাধারে একজন বাংলাদেশি ঔপন্যাসিক, ছোটগল্পকার, নাট্যকার এবং গীতিকার, চিত্রনাট্যকার ও চলচ্চিত্র নির্মাতা। তিনি বিংশ শতাব্দীর জনপ্রিয় বাঙালি কথাসাহিত্যিকদের মধ্যে অন্যতম। ছোট থেকে শুরু করে প্রায় সকল বয়সের মানুষের কাছে হুমায়ূন আহমেদ স্যার অনেক প্রিয় ছিলেন।
হুমায়ূন আহমেদ সবথেকে বেশি পরিচিত পায় কথাসাহিত্যিক হিসেবে। তার জনপ্রিয় বইয়ের চরিত্র গুলোর মধ্যে হিমু অন্যতম। এছাড়াও তার বইয়ের বিখ্যাত বিখ্যাত চরিত্র এখনো মানুষের মাঝে যেটা আছে। মানুষ হুমায়ূন আহমেদ স্যারের সব থেকে উক্তি গুলো বেশি পছন্দ করত। তাই আজকে আমরা হুমায়ূন আহমেদের দুঃখের উক্তি ও হুমায়ূন আহমেদের কষ্টের উক্তি গুলো আপনাদের সামনে প্রকাশ করব। আশা করি, মনোযোগ সহকারে আজকের আর্টিকেল পড়বেন।
হুমায়ূন আহমেদের দুঃখের উক্তি
হুমায়ূন আহমেদ স্যারের উক্তি বলে শেষ করা যাবে না। কারণ তার অসংখ্য উক্তি রয়েছে। যে উক্তিগুলোর কিছু উক্তিই লিপিবদ্ধ রয়েছে আবার কিছু উক্তি লিপিবদ্ধ করা নেই। তার মধ্যে থেকে সবথেকে দুঃখ কষ্টের উক্তিগুলো আজকে আপনাদের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করব।
মানুষ ট্রেইনের মত এক লাইনে চলে। তবে বিশেষ ঘটনার পর নতুন লাইন পাওয়া যায়।
সব মানুষের জীবনেই অপূর্ণতা থাকবে। অতি পরিপূর্ণ যে মানুষ তাকে জিজ্ঞেস করলে সে ও অতি দুঃখের সঙ্গে তার অপূর্ণতার কথা বলবে। অপূর্ণতা থাকে না শুধু বড় বড় সাধক ও মহা পুরুষদের।
কেও কারও মত হতে পারে না। সবাই হয় তার নিজের মত। তুমি হাজার চেষ্টা করেও তোমার চাচার বা বাবার মত হতে পারবে না। সব মানুষই আলাদা।
চাঁদের বিশালতা মানুষের মাঝেও আছে, চাঁদ এক জীবনে বারবার ফিরে আসে, ঠিক তেমন মানুষ প্রিয় বা অপ্রিয় যেই হোক, একবার চলে গেলে আবার ফিরে আসে।
বড় বড় ব্যাপারগুলি সহজেই ঝেড়ে ফেলা যায় কিন্তু তুচ্ছ ব্যাপারগুলি চোরকাঁটার মত কিছুতেই তাড়ানো যায় না।
মেয়েদের চরিত্রের একটা বিশেষ দিক হল, যেই মুর্হূতে তারা অপর পক্ষের আগ্রহ টের পায়, সেই মুর্হূতে তারা দপ করে নিভে যায়।
বয়সকালেই মানুষ ছোট খাট ভুল করতে থাকে। ছোটখাটো ভুল করা যখন অভ্যাস হয়ে যায় তখন করে বড় ভুল।
সরাসরি চোখের দিকে তাকিয়ে কেউ মিথ্যা বলতে পারে না। মিথ্যা বলতে হয় অন্যদিকে তাকিয়ে।
বিপদ যখন আসে একটার পর একটা আসে। বিপদরা পাঁচ ভাইবোন। এদের মধ্যে খুব মিল। এই ভাইবোনরা কখনো একা কারো কাছে যায় না। প্রথম একজন যায়, তারপর তার অন্য ভাইবোনরা উপস্থিত হয়।
পৃথিবীতে আসার সময় প্রতিটি মানুষই একটি করে আলাদিনের প্রদীপ নিয়ে আসে…কিন্তু খুব কম মানুষই সেই প্রদীপ থেকে ঘুমন্ত দৈত্যকে জাগাতে পারে।
প্রিয় পাঠক আপনি এই আর্টিকেলে পড়ছেন হুমায়ূন আহমেদের দুঃখের উক্তি সম্পর্কে। পুরো পোষ্ট পড়া শেষ হলে এখান থেকে কোন উক্তিটি আপনার খুব পছন্দ তা আমাদেরকে কমেন্ট বক্সে জানানোর অনুরোধ রইলো।
সমুদ্রের জীবনে যেমন জোয়ার-ভাটা আছে, মানুষের জীবনেও আছে। মানুষের সঙ্গে এই জায়গাতেই সমুদ্রের মিল।
অধিকাংশ মানুষ কল্পনায় সুন্দর, অথবা সুন্দর দুর থেকে। কাছে এলেই আকর্ষণ কমে যায়। মানুষই একই। কারো সম্পর্কে যত কম জানা যায়, সে তত ভাল মানুষ।
মানুষ হয়ে জন্মানোর সবচেয়ে বড় কষ্ট হচ্ছে মাঝে মাঝে তার সবকিছু পেছনে ফেলে চলে যেতে ইচ্ছা করে, কিন্তু সে যেতে পারে না। তাকে অপেক্ষা করতে হয়। কিসের অপেক্ষা তাও সে ভালমতো জানে না।
এক সাথে কখনো সবাইকে সুখী করা সম্ভব না। আপনি কখনই পারবেন না। কাউকে না কাউকে অসন্তুষ্ট রাখতেই হবে। আর তাতেই মনে হয় নিজের গোটা পৃথিবীর একটা প্রান্ত অসম্পূর্ণ থেকে যায়।
কিছু মানুষ জীবনে আসে ক্ষনিকের জন্য, হঠাৎ চলে যায় ঘুর্নিঝড়ের মতো, ধ্বংস করে দিয়ে যায় মনের ঘরবাড়িকে।
দুঃসময়ে কোনো অপমান গায়ে মাখতে হয় না।
পৃথিবীতে আনন্দ এবং দুঃখ সব সময় থাকবে সমান সমান। বিজ্ঞানের ভাষায় আনন্দের সংরক্ষণশীলতা। একজন কেউ চরম আনন্দ পেলে, অন্য জনকে চরম দুঃখ পেতে হবে।
পৃথিবীতে কিছু কিছু মানুষ সম্ভবত কষ্ট পাবার জন্যই জন্মায়। উঁহু টাঁকা পয়সার কষ্ট নয়, মানসিক কষ্ট।
সবাই তোমাকে কষ্ট দিবে, কিন্তু তোমাকে এমন একজনকে খুঁজে নিতে হবে, যার দেওয়া কষ্ট তুমি সহ্য করতে পাড়বে।
না পাওয়া ভালোবাসাগুলি সত্যি মনে হয়, পাওয়ার পর কত জনই বা তার মূল্য দিতে পাড়ে।
প্রিয় পাঠক আপনি ইতিমধ্যে হুমায়ূন আহমেদের দুঃখের উক্তি প্রায় ২০টি পড়ে সম্পন্ন করেছেন। আশাকরি পোষ্টটি আপনার ভালো লাগছে। এই উক্তি গুলো নিয়ে আপনার কোনো মন্তব্য থাকলে অবশ্যই কমেন্ট বক্সে জানাতে পারেন। চলুন বাকী উক্তিগুলো পড়ে শেষ করা যাক।
যখন কেউ কারও জন্য কাঁদে, সেটা হল আবেগ। যখন কেউ কাউকে কাঁদায় সেটা হল প্রতারণা। আর যখন কেউ কাউকে কাদিয়ে নিজেও কেঁদে ফেলে সেটাই হল প্রকৃত ভালোবাসা।
কষ্ট মানুষকে পরিবর্তন করে, আবার কষ্টই মানুষকে শক্তিশালী করে।
প্রতিটি দুঃসংবাদের সঙ্গে একটি করে সুসংবাদ থাকে।
যে ভালোবাসা না চাইতেও পাওয়া যায়, তার প্রতি কোনো মোহ থাকে না।
দুঃসময়ে কোনো অপমান গায়ে মাখতে হয় না। ভালোবাসা ও ঘৃনা দুটাই মানুষের চোখে লিখা থাকে।
মধ্যবিত্ত পরিবারের মানুষগুলোই ধরণীর আসল রূপ দেখতে পায়।
না বলতে পারাটা খুব বড় গুণ। বেশিরভাগ মানুষ ‘না’ বলতে পারে না। এতে তারা নিজেরাও সমস্যায় পড়ে, অন্যদেরও সমস্যায় ফেলে।
ভালোবাসা খুব অদ্ভুত জিনিস। ভালোবাসা কখনো হারায় না। কখনো নষ্ট হয় না। কোনো না কোনভাবে থেকেই যায়।
টাকার অভাবে ভালোবাসা মারা যায়, কিন্তু টাকা দিয়ে ভালোবাসা কিনা যায় না।
মনের তীব্র ব্যাথা কমানোর একটি উপায় হচ্ছে কিছু লেখা। যে লেখা ব্যক্তিগত দুঃখকে ছড়িয়ে দেয় সবদিকে।
পরিশেষে কিছু কথা
হুমায়ূন আহমেদের দুঃখের উক্তি ও কষ্টের উক্তি গুলো মনোযোগ সহকারে পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আমরা চেষ্টা করেছি হুমায়ূন আহমেদ এর উক্তি গুলোর মধ্যে সবথেকে কষ্টের উক্তিগুলো আপনাদের সামনে হাজির করার। এছাড়াও হুমায়ূন আহমেদের কি ধরনের উক্তি আপনারা করতে চান তা অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। এছাড়াও আজকের আর্টিকেল কেমন লাগলো তা কিন্তু কমেন্ট করতে ভুলবেন না।