শিক্ষকের অবসরজনিত বিদায় সংবর্ধনা, বিদায় অনুষ্ঠানের বক্তব্য

শিক্ষকের বিদায় উপলক্ষে বক্তব্য। আসসালামু আলাইকুম প্রিয় পাঠক। আশা করি আপনি অনেক ভালো আছেন। আবারো হাজির হয়ে গেলাম আপনাদের সামনে নতুন একটি টিউটোরিয়াল। আমাদের স্কুল,কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতি বছর প্রায় একজন করে শিক্ষক অবসরপ্রাপ্ত হন। শিক্ষকের এই অবসর নেওয়া কে কেন্দ্র করে স্কুল বা কলেজে বিদায় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।  এখন একজন শিক্ষার্থী হিসেবে আপনার উচিত শিক্ষকের বিদায় উপলক্ষে একটি সুন্দর বক্তব্য দেওয়া। কিন্তু এমন অনেক শিক্ষার্থী আছে যারা বিদায় অনুষ্ঠানের বক্তব্য দিতে ভয় পায়। কিভাবে বক্তব্য দিতে হবে বা কিভাবে সুন্দর একটি বিদায় অনুষ্ঠানের বক্তব্য দেওয়া যায় তা নিয়ে বিভিন্ন ধরনের সংশয় থাকে। শিক্ষকের বিদায় সংবর্ধনা বাণী।

আপনার যদি এরকম অনুষ্ঠানে বক্তব্য নিয়ে ভয় ও সংশয় থাকে। তাহলে আজকের আর্টিকেল মনোযোগ সহকারে পড়তে পারেন। আজকের আর্টিকেলে আমরা এমন সুন্দর একটি বক্তব্যের নমুনা প্রকাশ করব। আপনি খুবই সহজ ভাবে শিক্ষকের বিদায় উপলক্ষে একটি সুন্দর বক্তব্য পেশ করতে পারবেন। চলুন শিক্ষকের বিদায় উপলক্ষে বক্তব্য নমুনা পত্র দেখে নেই। প্রধান শিক্ষকের বিদায় সংবর্ধনা মানপত্র।

শিক্ষকের বিদায় অনুষ্ঠানের বক্তব্য (এখান থেকে শুরু)

বিসমিল্লাহি রহমানের রাহিম, আসসালামুআলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহু। বিদায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত আছেন সম্মানিত প্রধান অতিথি ও আমাদের স্কুলের প্রধান শিক্ষক এবং অন্যান্য সকল শিক্ষকবৃন্দ এবং আরো উপস্থিত আছেন অত্র প্রতিষ্ঠানের সকল ছাত্র ছাত্রী ভাই ও বোনদেরকে আমার পক্ষ হতে সালাম এবং আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।

শিক্ষকের বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য।

তাই কবির চরণে বলতে হয়,
যেতে নাহি দিব হায়,
তবু যেতে দিতে হয়,
তবু চলে যায়।

শিক্ষকের বিদায় উপলক্ষে সহকর্মীর বক্তব্য।

আপনারা সবাই জানেন আজকের এই বিদায় অনুষ্ঠানের মূল উদ্দেশ্য হলো আমাদের শিক্ষক গনের মধ্য থেকে একজন শিক্ষক অবসর নিতে যাচ্ছেন। তিনি আমাদের সকলের শ্রদ্ধেয় শিক্ষক মোঃ ইমতিয়াজ আহমেদ। বসন্তের পাতাঝরা সুন্দর ঋতুর অনুভূতি যখন গ্রীস্মের সময় এসে গরমের মধ্যে পৌঁছে ঠিক তেমনি আমাদের প্রতিষ্ঠান মঙ্গলজুড়ে কোলাহলের বিষন্নতা ছড়াচ্ছে আপনার বিদায় মুহূর্তে। আপনার এই বিশাল জ্ঞান ভান্ডার এর ছোঁয়া পেয়ে নিজেদেরকে আমরা অনেক ধন্য মনে করছি। শিক্ষকের বিদায় সংবর্ধনা বক্তব্য।

আপনার এই দীর্ঘ শিক্ষক জীবনের যে উজ্জ্বল ছোঁয়া দিয়ে আমাদের সকলকে আলোকিত করেছেন, তা বলে শেষ করা যাবে না। আপনার জ্ঞানের আলোয় আমরা যেমন আলোকিত হয়েছি, ঠিক তেমন ভাবে সেই জ্ঞানের আলো হারানোর বেদনায় আজ আমরা সবাই শোকাহত হয়ে যাচ্ছি। আপনাকে আমাদের বিদায় দিতে খুবই কষ্ট হচ্ছে। বিশেষ করে আমার ভারাক্রান্ত মন চাচ্ছে আপনি আরো দীর্ঘদিন আমাদের শিক্ষা প্রদান করুন। তবে এর সাথে আমাদের সরকারি নির্দেশনা মেনে চলতে হবে। 

অবসরজনিত বিদায় সংবর্ধনা।

হে আমাদের প্রিয় শিক্ষক, আপনি শুধু আমাদের শিক্ষকের ছিলেন না। আপনি ছিলেন আমাদের অভিভাবক ও বন্ধুর মতো। আমাদের যে কোন সমস্যার সমাধান আপনার কাছে পেয়ে যেতাম। আপনি সবসময় আমাদের পড়াশোনার বিষয়ে উৎসাহ প্রদান করতেন। বিশেষ করে পরীক্ষা শুরু হওয়ার আগে আমাদের পরীক্ষায় কিভাবে ভালো ফলাফল অর্জন করা যায় তা নিয়ে অনেক উপদেশ দিয়েছেন। যে উপদেশগুলো আমরা কেউ সঠিকভাবে গ্রহণ করেছি আবার কেউ গ্রহণ করিনি। যারা আপনার উপদেশ সঠিকভাবে মেনেছে তারাই পরীক্ষায় ভালো ফলাফল অর্জন করতে পেরেছি। শিক্ষকের বিদায় অনুষ্ঠানের বক্তব্য।

এছাড়াও আপনার উদারতা ও ক্লান্ত হীন জ্ঞানচর্চা আমাদের অনেক উৎসাহিত করে তুলেছে। আপনি সব সময় সত্যবাদী ও সত্যের পক্ষে কথা বলতেন। আমাদের সব সময় সত্য কাজে উৎসাহিত করতেন। যা আমাদের সকল শিক্ষার্থীর মনে এখনো গেঁথে আছে ও ভবিষ্যতে গেঁথে থাকবে। একজন শিক্ষকের মধ্যে যে এত গুণাবলী থাকতে পারে,আপনাকে না দেখে কেউ বিশ্বাস করতে পারবে না। কারণ আপনি ছিলেন বিশেষ কয়েকটি গুনে গুণান্বিত। যা আমাদের শিক্ষক মহলে খুবই কম দেখা যায়। স্যারের বিদায় অনুষ্ঠানের বক্তব্য।

আপনি যে একজন প্রতিভাবান ব্যক্তি তা প্রমাণ হয়েছিল আপনার যেদিন তেলবিহীন মোটরসাইকেল তৈরি করেছিলেন। আপনার এই আবিষ্কার আমাদের পুরো শহরকে একটি আলোড়ন সৃষ্টি করে দিয়েছিল। তারপর থেকে ছড়িয়ে পড়তে থাকে আমাদের প্রতিষ্ঠান ও আপনার সুনাম। আমাদের সবথেকে গর্ব হয়, আপনার এই অভাবনীয় আবিষ্কারের পিছনে আমরা একটু হলেও পরিশ্রম করতে পেরেছিলাম। এ কাজে আপনার সান্নিধ্য পাওয়া ছিল আমাদের জন্য পরম সৌভাগ্যের ব্যাপার। আমরা ভবিষ্যতে আশা করব, আপনার অবসর সময়টুকু অবশ্যই দেশ ও জাতির কল্যাণে কাজ করবেন। বিশেষ করে এমন কিছু উদ্ভাবন করুন, যা থেকে আমরা সব সময় আপনার থেকে অনুপ্রাণিত হই। এর পাশাপাশি আমাদের বিদ্যালয়ের নাম সারা দেশের ছড়িয়ে পড়ুক। প্রধান শিক্ষকের বিদায় উপলক্ষে বক্তব্য।

আপনি ছিলেন আমাদের আদর্শের শিরোমনি। যাকে দেখে শিক্ষা জীবনের পাশাপাশি বাস্তব জীবনে আদর্শবান হওয়া যায়। তার প্রকাণ্ড প্রমাণ হলেন আপনি। যার মাধ্যমে আমি সহ আমার সহপাঠীরা আদর্শবান হতে পেরেছে। শুধু আমি বা আমার সহপাঠী নয়, বিগত প্রাক্তন শিক্ষার্থীরাও আপনার আদর্শকে ধারণ করে,এখন পর্যন্ত পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছে। 

শিক্ষকের বিদায় সংবর্ধনা পত্র।

সুন্দর বিদায় হলো
ক্ষতি না করে বিদায় নেয়া,
সুন্দর ক্ষমা হলো
বকা না দিয়ে ক্ষমা করা,
সুন্দর ধৈর্য হলো অভিযোগ না রেখে ধৈর্য্ধারণ করা।

বিদায়ী শিক্ষকের উদ্দেশ্যে বক্তব্য

আপনার গুনে গুণান্বিত না হয়ে কোন উপায় নেই। কারণ আপনি আমাদের যে বাস্তব শিক্ষা দিয়েছেন তা কখনো ভুলবার মতো না। আপনার থেকে আমরা যে শিক্ষা অর্জন করেছি তা দিয়ে ইনশাল্লাহ এ জীবন পার করে দিতে পারবো। একজন শিক্ষার্থীর একাডেমিক পড়াশোনার পাশাপাশি অবশ্যই ধর্মীয় শিক্ষা অর্জন করা দায়িত্ব। একসময় আমরা এই শিক্ষা থেকে পিছিয়ে পড়েছিলাম। কিন্তু আপনার অবদান ছিল এখানে অতুলনীয়। বদলি জনিত বিদায় বক্তব্য

আমরা যখন ধর্মীয় শিক্ষা থেকে নিজেকে দূরে রাখতে শুরু করি। তখন আপনি আমাদের ধর্মীয় শিক্ষার দিকে অগ্রসর হতে বলেন। তখন আপনি আমাদের জন্য বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে নামাজ পড়ার জন্য একটি ঘর তৈরি করে দেন। শুধু ছেলেদের জন্যই নয়, আপনি মেয়েদের জন্য একটি নামাজের ঘরে ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন। যা থেকে একজন মুমিন মুসলমানের পরিচয় প্রকাশ পায়। আপনার এই অবদান শোধ করার মত ক্ষমতা বা অর্থ আমাদের কিছুই নেই। আশা করি,আপনার এই অবদান আমাদের প্রতিষ্ঠানে আজীবন থেকে যাবে। 

আপনার আরও একটি অবদান যা এখন আমাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জলজল করে জ্বলছে। তাহলে আমাদের ক্যান্টিন। যখন আমাদের বিদ্যালয় কোন ক্যান্টিন ছিল না। তখন টিফিন পিরিয়ডে আমাদের বাইরের খাবার খেতে হতো। বিশেষ করে ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের বাইরে গিয়ে খাবার খাওয়া বেশি অসুবিধা ছিল। তারপর যখন আপনি আমাদের অসুবিধার কথা জানতে পারলেন। 

তখন কিন্তু আপনি বসে না থেকে সকল শিক্ষকবৃন্দ ও অভিভাবকদের নিয়ে একটি মিটিংয়ে আয়োজন করলেন। এই মিটিং এর মাধ্যমে আমরা আমাদের প্রতিষ্ঠানে একটি ক্যান্টিন পেয়েছি। এখন আমাদের টিফিন পিরিয়ডের খাওয়া দাওয়ার কোন সমস্যা হয় না। এই অবদান শুধু আপনার। যা আমাদের সকল শিক্ষার্থীর মনে স্মৃতি হয়ে গেথে থাকবে। অধ্যক্ষের বিদায় উপলক্ষে ভাষণ।

আপনার যে অবদানের কথা না বললেই নয়, তা হল অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা। এক সময় আমাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আশেপাশে উগ্র, মৌলবাদী, মাদকাসক্ত ও খারাপ ছেলেদের উৎপাত বেড়ে গিয়েছিল। তখন আমরা সবাই এই খারো পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়া করতাম। এমন সময় এসেছে একজন শিক্ষার্থীর বাবা-মা সন্তানকে বিদ্যালয়ে পাঠিয়ে অনেক চিন্তার মধ্যে পড়েছিল। বিশেষ করে মেয়েদের সবথেকে বেশি সমস্যা হতো। একজন শিক্ষকের বিদায়।

যার কারণে এমন অনেক অভিভাবক ছিলেন যাদের মেয়েদের স্কুলে আসা বন্ধ করে দিয়েছিল। কিন্তু তখন আপনি আমাদের সবাইকে নিয়ে মাদকাসক্ত ছেলেদের বিরুদ্ধে অন্যায়ের প্রতিবাদ করেছিলেন। যার ফলে আমাদের বিদ্যালয় আবার আলো ফিরে আসে। এর পরবর্তী সময়ে আপনার এই প্রতিবাদের কারণে বাইরের কোন ছেলেপেলেরা আমাদের বিদ্যালয় আঙ্গিনায় কোন হুলোর করেনি। যা থেকে আমরা বাস্তব একটি গুণাবলী অর্জন করেছিলাম। প্রিয় শিক্ষকের বিদায়।

এছাড়াও আপনার অবদানগুলোর মধ্যে রয়েছে প্রত্যেক বছর দুই বার করে ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ব্যবস্থা করা। অবশ্যই শিক্ষাজীবনে একজন শিক্ষার্থীর পড়াশোনায় পাশাপাশি খেলাধুলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এই কারণে একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অবশ্যই প্রতিবছর ক্রীড়া প্রতিযোগিতা হওয়া উচিত। একসময় আমাদের বিদ্যালয় শুধু বছরে একবার ক্রীড়া প্রতিযোগিতার ব্যবস্থা করা হতো। শিক্ষকের বিদায় উপলক্ষে শিক্ষকের বক্তব্য।

কিন্তু পরবর্তী সময়ে আপনার উদ্যোগের কারণে ১৬ই ডিসেম্বর ও ২৬ শে মার্চ দুটি আলাদা আলাদা জাতীয় দিবসে ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। এই দুটি ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় অসংখ্য শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। ক্রীড়া প্রতিযোগিতার সবথেকে দর্শনীয় দিকগুলো ছিল অসংখ্য ক্যাটাগরিতে পুরস্কৃত করা। শিক্ষা বিষয়ক থেকে শুরু করে খেলাধুলা, সংগীত,ইসলামিক গজল ও বক্তৃতা সব বিষয়ে পুরস্কৃত করা হতো। যখন একজন শিক্ষার্থী ভালো উপস্থাপনা করার মাধ্যমে পুরস্কার পেতো। তখন কিন্তু তার মনে দিব্যি একটি ভবিষ্যতে এগিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন জেগে উঠতো। যার পিছনে আপনার অবদান ছিল শিরোধার্য। কর্মকর্তার বিদায় অনুষ্ঠানের বক্তব্য।

আমাদের ছোট এই শিক্ষা জীবনে আপনার থেকে যে সকল শিক্ষা অর্জন করেছি তা দিয়ে ইনশাল্লাহ একটি সুন্দর ও স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারব। শুধু যে আমরা আপনার সকল কাজের প্রশংসা করি তা নয়। আমাদের প্রতিষ্ঠানের প্রাক্তন যে সকল ছাত্র-ছাত্রী রয়েছে তারাও আপনার প্রশংসায় পঞ্চমুখ। এছাড়াও আমাদের সকল সম্মানিত শিক্ষকবৃন্দ ও অভিভাবক গণ আপনাকে খুবই পছন্দ ও অনুসরণ করে। বিশেষ করে আমাদের পুরো এলাকায় আপনি খুবই সম্মানী একজন ব্যক্তি। এর সবগুলো অবদান শুধু আপনার প্রতিভা ও সুন্দর আচার ব্যবহারের জন্য।

আপনার দায়িত্বশীলতার কথা বলতে গেলে প্রথমেই আসে আপনার বিদ্যালয়ে উপস্থিত থাকার কথা। আপনি দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে আমাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক পদে কর্মরত আছেন। কিন্তু আপনি কখনো বিদ্যালয় অনুপস্থিত হননি। আমার জীবনে আমি আপনাকে কখনো বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত থাকতে দেখি নি।

অর্থাৎ এটা থেকে প্রমাণ হলো আপনি খুবই দায়িত্বশীল একজন শিক্ষক ছিলেন। আপনার এই গুণের কারণে আমরা অনেক শিক্ষার্থী মনে প্রতিজ্ঞা করলাম, আমরাও কখনো অহেতুক কোন কারণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অনুপস্থিত থাকবো না। যার মাধ্যমে একজন শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। শিক্ষক বিদায়ী ভাষণ।

বিদায় প্রধানত দুই প্রকার চিরস্থায়ী ও ক্ষণস্থায়ী। আপনি আমাদের মাঝ থেকে শুধু ক্ষণস্থায়ী বিদায় নিচ্ছেন। এই কারণে আমাদের সকলের আপনার কাছে অনেক কিছু চাওয়ার রয়েছে। বিশেষ করে আমি আপনার কাছে একটি জিনিস চাই। তা হল অবসরপ্রাপ্ত সময়ের পর,আপনি অবশ্যই আমাদের বিদ্যালয় নিয়মিত আসবেন। আপনার যতই ব্যস্ততা থাকুক না কেন। মাসে একবার হলেও আমাদের বিদ্যালয়ে এসে আমাদের জ্ঞানকে আরো উজ্জীবিত করে তুলবেন। আশা করি, আমার এই অনুরোধ আপনি অবশ্যই রাখবেন। 

সত্যিকার অর্থে আজকে শুধুমাত্র নিয়ম রক্ষার্থে এই বিদায় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। আমরা বিষন্ন চিত্রে এবং অশ্রুসজল নয়নে আপনাকে শ্রদ্ধা জানাচ্ছি। আপনার মত আদর্শবান ও প্রতিভাবান শিক্ষকের সান্নিধ্য পেয়ে আমরা নিজেকে ধন্য মনে করি। আপনার আদর্শ মনে লালন করে আমরা যেন আদর্শিত হতে পারি। দেশ ও সমাজকে সুষ্ঠুভাবে প্রতিষ্ঠা করতে পারি,সেই দোয়া কামনা করছি। আমাদের এই শিক্ষাজীবনে আপনার সাথে কাটানো মুহূর্তগুলো স্মৃতিতে অম্লান ও অক্ষয় হয়ে থাকবে। 

আমার সংক্ষিপ্ত আলোচনা আর বাড়াতে চাই না। আপনার সাথে আমরা অসহস্র সময় কাটিয়েছি। আমাদের ইচ্ছা বা অনিচ্ছাকৃত আচরণের কারণে আপনি যদি কোন কষ্ট পেয়ে থাকেন। তাহলে আমাদেরকে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখে, নিজের সন্তান মনে করে আমাদেরকে ক্ষমা করে দিবেন। সেই সাথে আমাদের ভুলত্রুটি ক্ষমা করে,আমাদের ভবিষ্যত যেন উজ্জল ,সুখী ও সমৃদ্ধময় হয় তা কামনা করার জন্য দোয়া চাচ্ছি ।

আমাদের সকলের পক্ষ হতে আপনার জন্য ভালোবাসা, শ্রদ্ধা, সুস্থ সুন্দর জীবন এবং মহান আল্লাহ তাআলা আপনাকে যেন নেক হায়াত দান করেন সেই কামনা করছি। আসসালামুআলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহু। জাজাকাল্লাহ খাইরান। আমার বক্তব্যের মধ্যে যদি কোন ভুলত্রুটি হয়ে থাকে,অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। আবারো বিদায়ী শ্রদ্ধেয় শিক্ষককে জানাই শ্রদ্ধা ও অফুরন্ত ভালোবাসা।  

উপসংহার

আশা করি, শিক্ষকের বিদায় উপলক্ষে বক্তব্য আপনার ভালো লেগেছে। একজন শিক্ষকের বিদায় অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীর কি কি বিষয় বক্তব্যে বলা উচিত তা আপনাদের সামনে আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। আপনি ইচ্ছা করলে এর থেকে বেশি বিষয় যুক্ত করতে পারেন। এছাড়াও আপনার বিদায়ী শিক্ষকের কি কি গুনাবলী রয়েছে, তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করতে পারেন। 

প্রকৃতপক্ষে একজন বিদায়ী শিক্ষকের বিদায় অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীর বক্তব্যের নমুনা পত্র আমরা তুলে ধরেছি। আপনি এর থেকেও সুন্দরভাবে বক্তব্য তৈরি করতে পারেন। তো আজকের আর্টিকেল কেমন লাগলো তা অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *