আমি আপনার মতো একজন মানুষকে খুজছি। যে মানুষটা একান্তভাবে মাদারবোর্ড কি, সে সম্পর্কে জানতে চায়। আর যেহুতু আপনি আমার ওয়েবসাইট চলে এসেছেন। সেহুতু আপনার কোনো টেনশন করার দরকার নেই। কারন আজকে আমি Motherboard এর আদি থেকে অন্ত পর্যন্ত। আজকে মাদারবোর্ড বলতে কি বুঝায় | মাদারবোর্ড কত প্রকার ও কি কি (বিস্তারিত) যে সমস্ত খুটিনাটি বিষয় আছে, তার সবগুলোকে স্টেপ বাই স্টেপ আলোচনা করবো।
প্রযক্তির এই যুগের সাথে তাল মেলানোর জন্য কম্পিউটার এর গুরুত্ব অপরিসীম। আর কোনো একটি Computer এর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো মাদারবোর্ড। সত্যি বলতে Motherboard ছাড়া কম্পিউটার, এটা কল্পনা করা যায়না। আর এই মাদারবোর্ড নিয়েই আজকে আমরা আলোচনা করবো। তো যদি আপনি জানতে চান যে, মাদারবোর্ড কি এবং মাদারবোর্ড এর কাজ কি। তাহলে আজকের পুরো লেখাটি মন দিয়ে পড়বেন।
মাদারবোর্ড বলতে কি বুঝায়
আমাদের ব্যবহার করা প্রতিটা কম্পিউটার এর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশের নাম হলো মাদারবোর্ড। কেননা, এই কম্পিউটার গুলোর মধ্যে এক ধরনের Cabinet এর বোর্ড লাগানো থাকে। যে বোর্ডে Computer এর বাকি হার্ডওয়্যার গুলোকে সংযুক্ত করা হয়। যেমন, CPU, RAM, HDD, Monitor, BIOS, CMOS, Mouse, Keyboard ইত্যাদি।
আর এতগুলো হার্ডওয়্যার এবং কম্পোনেন্ট কে একসাথে একটি Cabinet বোর্ডের মধ্যে সংযুক্ত করা হয়েছে বলে। এই বোর্ডটিকে বলা হয় মাদারবোর্ড। যাকে একটি কম্পিউটার এর “মা” -হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
একজন মা যেভাবে নিজের সন্তানকে লালন পালন করে। ঠিক একইভাবে Motherboard ও তার সাথে যুক্ত থাকা সকল Components কে আগলে রাখে। আশাকরি আপনি মাদারবোর্ড বলতে কি বুঝায় এ সম্পর্কে বুঝতে পেরেছেন। পুরো আর্টিকেলটি পড়ুন তবে ধাপে ধাপে আরও বুঝতে পারবেন।
মাদারবোর্ড এর ইতিহাস
আজকের দিনগুলোতে আমরা যাকে মাদারবোর্ড বলছি। অতীতের দিনে কিন্তুু এর নাম ছিলো প্লানার (Planner). যার নামকরন করেছেন আইবিএম (IBM) নামক একটি কোম্পানি।
কারন, ১৯৮১ সালে এই আইবিএম কোম্পানি সর্বপ্রথম কম্পিউটার জগতের মাদারবোর্ড সৃষ্টি করেছিলো। তবে মজার বিষয় হলো, মাদারবোর্ড এর আরও অনেক নাম আছে। যেমন, প্ল্যানার বোর্ড, লজিক বোর্ড, এমবি, বেস বোর্ড, মোবো ইত্যাদি। এই নাম গুলো একেক সময় ব্যবহার করা হতো।
মাদারবোর্ড এর কাজ কি
উপরের আলোচনা থেকে “মাদারবোর্ড কি”- সে সম্পর্কে ক্লিয়ার ধারনা পেয়ে গেছেন। তো এটি জানার পর আপনাকে আরও একটি বিষয়ে জানতে হবে। সেটি হলো মাদারবোর্ড এর কাজ কি। চলুন এবার সে নিয়ে বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক৷
কোনো একটি মাদারবোর্ডে যতগুলো ডিভাইস সংযুক্ত থাকে। সেগুলো পরিচালনা করার জন্য পাওয়ার (Power) এর প্রয়োজন হয়ে থাকে। আর এই পাওয়ার গুলো মূলত মাদারবোর্ড থেকে সাপ্লাই দেয়া হয়ে থাকে।
একটি কম্পিউটার কে সঠিকভাবে পরিচালনা করার জন্য Computer Cabinet এ যেসব ডিভাইস যুক্ত করা থাকে। তার সবগুলোকে ম্যানেজমেন্ট থেকে শুরু করে কমিউনিকেট পর্যন্ত। এর প্রায় সবগুলো কাজ করে মাদারবোর্ড।
মাদারবোর্ড মূলত একটি ডিভাইসের সাথে অন্য কোনো ডিভাইসের মধ্যে যোগাযোগ স্থাপন করার কাজটি করে থাকে। হয়তবা আপনার জানা থাকবে যে, একটি কম্পিউটার চালু হওয়ার ক্ষেএে Bios এর ভূমিকা অপরিসীম। আর এই Bios Setting এর কাজটিও কিন্তুু মাদারবোর্ড করে থাকে।
কোনো একটি কম্পিউটার কে সচল রাখতে কোন কোন ডিভাইসকে কোথায় রাখা উচিত। সেটিও কিন্তুু মাদারবোর্ড নির্ধারন করে দেয়।
সত্যি বলতে মাদারবোর্ড এর কাজ কি সেটি আসলে লিখে শেষ করা যাবেনা। কেননা, আমি শুরুতেই বলেছি যে এটি ছাড়া একটি কম্পিউটার কে কল্পনা করাই অসম্ভব। তবে আমি শুধু চেস্টা করেছি, মাদারবোর্ড এর মূল কাজ গুলোকে তুলে ধরার এবং পূর্বের অনুচ্ছেদে আপনি মাদারবোর্ড বলতে কি বুঝায় এ সম্পর্কে ও জেনেছেন। তারপর আলোচনা থাকবে এটা কত প্রকার ও কি কি এ সম্পর্কে।
মোবাইল/ ল্যাপটপ/ ট্যাবলেটে মাদারবোর্ড থাকে?
আর্টিকেলের শুরু থেকে আমি শুধমাত্র কম্পিউটার এর মাদারবোর্ড নিয়ে কথা বলেছি। এখন হয়তবা আপনার মনে প্রশ্ন জেগে থাকতে পারে যে, মোবাইল কিংবা ল্যাপটপে কি মাদারবোর্ড সংযুক্ত থাকেনা?
আপনার মনে যদি এই প্রশ্নটি জেগে থাকে। তাহলে বলবো, হ্যাঁ! মোবাইল বা ল্যাপটপ এর মতো ইলেকট্রনিকস পন্যগুলোর মধ্যেও Motherboard যুক্ত করা থাকে।
কিন্তুু এসব ইলেকট্রনিকস পন্যের মধ্যে যেসব মাদারবোর্ড থাকে। সেগুলোকে সহজ ভাষায় বলা হয় লজিক বোর্ড। আর এসব লজিক বোর্ড গুলোর কাজের দিক থেকেও বেশ মিল আছে।
কিন্তুু একটি কম্পিউটার ডিভাইসের মাদারবোর্ডে যতগুলো কম্পোনেন্ট যুক্ত করা থাকে। ততগুলো কম্পনেন্ট মোবাইল বা ল্যাপটপ এর লজিক বোর্ডে থাকেনা।
মাদারবোর্ড কত প্রকার ও কি কি?
তবে বর্তমান সময়ে আপনি মোট ৫ প্রকারের মাদারবোর্ড দেখতে পারবেন। যেগুলো মূলত বিভিন্ন বিষয়ের উপর নির্ধারন করা হয়েছে। চলুন এবার সেই ৫ প্রকার মাদারবোর্ডের সাথে পরিচিত হওয়া যাক।
- Standard ATX (স্ট্যান্ডার্ড এটিএক্স)
- Micro ATX (মাইক্রো এটিএক্স)
- Mini ITX (মিনি আইটিএক্স)
- Nano ITX (ন্যানো আইটিএক্স)
- Pico ITX (পিকো আইটিএক্স)
উপরে আমি যে ৫ প্রকারের Motherboard এর কথা উল্লেখ করেছি। সেগুলো মূলত নির্ধারন করা হয়েছে, উৎপাদন, মার্কেট লেভেল, ব্যবহারের দিক, আকার এবং ক্ষমতার উপরে। যার কারনে উপরোক্ত মাদারবোর্ড গুলো আজকের দিনে ব্যাপক জনপ্রিয়। চলুন এবার সেই প্রকারভেদ গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক।
০১| Standard ATX Motherboard
ব্যবহারিক দিক থেকে সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় মাদারবোর্ড এর নাম হলো Standard ATX. এর প্রধান কারন হলো এর মধ্যে অতিরিক্ত এফিশিয়েন্সি যুক্ত টেকনোলজি থাকে। যা ব্যবহারিক দিক থেকে অনেক বেশি সুবিধা প্রদান করে থাকে। এটি আপনি সর্বোচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন Ram ব্যবহার করতে পারবেন। এগুলোর সাইজ বা আকার 35 ইঞ্চি × 35 ইঞ্চি হয়ে থাকে৷ সাধারনত হাই কনফিগারেশন এর পিসি তৈরি করার সময় এমন মাদারবোর্ড ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
০২| Micro ATX Motherboard
প্রায় 24 ইঞ্চি × 24 ইঞ্চি সাইজের মাদারবোর্ড গুলোকে বলা হয় Micro ATX. এগুলো মূলত Mini ATX এর থেকে কিছুটা বড় হয়ে থাকে। এই Micro ATX এর মধ্যে আলাদা করে স্লট দেখতে পারবেন না। তবে আপনি চাইলে আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী এর মধ্যে অনেক স্লট লাগিয়ে নিতে পারবেন।
০৩| Mini ITX Motherboard
আকারের দিক থেকে তুলনামূলক ভাবে অনেক ছোট হলেও বেশ শক্তিশালী একটি মাদারবোর্ড হলো Mini ITX. যার 16 Ram সাপোর্ট করার মতো ক্ষমতা আছে। তবে আকারের দিক থেকে একটু ছোট হওয়ার কারনে। এতে বেশি পরিমানে ক্যাবল ব্যবহার করা যায়না। কিন্তুু এর বিশেষ একটা সুবিধা আছে। সেটি হলো, এই মাদারবোর্ডে আপনি আপনার ইচ্ছেমতো কার্ড ব্যবহার করতে পারবেন। যেমন, Graphics Card, Audio Card ইত্যাদি।
০৪| Nano ITX Motherboard
অনেক কম পাওয়ার দিয়ে স্মুথলি ব্যবহার করা যায়। এমন একটি মাদারবোর্ড এর নাম হলো Nano ITX. এটি সর্বপ্রথম ২০০৩ সালে তৈরি হওয়ার কথা থাকলেও। এটি ২০০৫ সালে প্রথম মার্কেটে চালু করা হয়। বলে রাখা ভালো যে, এটি হলো fully integrated. এবং এটি -20°C ~ +70°C (-4°F ~ 158°F) টেম্পারেচারে অপারেট করতে পারে।
০৫| Pico ITX Motherboard
২০০৮ সালে সর্বপ্রথম VIA Technologies কোম্পানি থেকে প্রচার করা মাদারবোর্ড এর নাম হলো, Pico ITX. যেটি আকারের দিক থেকে প্রায় ১০ সেমিঃ × ৭.২ সেমিঃ হয়ে থাকে। বলা যায়, পিসির জন্য এটি হলো অন্যতম একটি মাদারবোর্ড।
মাদারবোর্ড এর মধ্যে কি কি থাকে
একটি মানুষের শরীর যেমন বিভিন্ন প্রকারের হাড় মাংসের সমন্বয় থাকে। ঠিক তেমনিভাবে কোনো একটি মাদারবোর্ড নানা ধরনের ছোটো বড় কম্পোনেন্ট এবং ডিভাইস এর সমন্বয়ে গঠিত হয়ে থাকে। বলা বাহুল্য যে, একটি মাদারবোর্ডে অনেক ধরনের কম্পোনেন্ট থাকে। কিন্তুু সব গুলো কম্পোনেন্ট নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা সম্ভব নয়। তাই এবার আমি আপনাকে গুরুত্বপূর্ণ কিছু Motherboard Components এর সাথে পরিচয় করিয়ে দিবো। যেগুলো ভীষন গুরুত্বপূর্ণ। যেমনঃ
- Processor Socket
আপনি হয়তবা ডয়েল কোর, কিংবা ইন্টেল কোর i3 বা ইন্টেল i5 এর নাম শুনে থাকবেন। মূলত এগুলো হলো প্রসেসর এর নাম। তবে সব ধরনের প্রসেসর প্রতিটা মাদারবোর্ডে কাজ করেনা। বরং নির্দিষ্ট ক্ষমতা সম্পন্ন প্রসেসরের উপর নির্ভর করে মাদারবোর্ডে সেটআপ করা হয়ে থাকে।
- Ram
একটি মাদারবোর্ড এর অতি গুরুত্বপূর্ণ একটা ডিভাইসের নাম হলো Ram. সচারাচর যেসব মাদারবোর্ড একটু উন্নত। সেগুলোতে মোট ২ টি করে Ram Solts লাগানো থাকে। যাতে করে পরবর্তী সময়ে Ram এর পরিমানটা বাড়িয়ে নেয়া যায়।
- IDE Connector
IDE এর পূর্ণরুপ হলো, ইন্টিগ্রেটেড ডিভাইস ইলেকট্রনিক। কোনো একটি মাদারবোর্ডে থাকা অন্যান্য ইন্টিগ্রেটেড যন্ত্রাংশ গুলোকে একএে সংযুক্ত করাই হলো IDE Connector এর মূল কাজ। এই কানেক্টর টি সাধারনত ১৪ টি পিনের সমন্বয়ে তৈরি করা হয়ে থাকে।
- ATX Connector
কোনো একটি মাদারবোর্ডে থাকা গুরুত্বপূর্ণ একটি কানেক্টর এর নাম হলো, ATX Connector. যা মূলত SMPS থেকে যে কারেন্ট আসে, সেঠিকে মাদারবোর্ডে পৌঁছে দেয়ার কাজটি করে থাকে।
- AGP Connector
আমরা জানি, প্রতিটা কম্পিউটারে সাধারন মানের Graphic Card ব্যবহার করা হয়। কিন্তুু সেগুলো দিয়ে আপনি তেমন কোনো কাজ করতে পারবেন না। আর সেই কারনে দরকার হয় External Graphic Card এর। আর যখনি আপনি কোনো এক্সটার্নাল গ্রাফিক্স কার্ড ব্যবহার করবেন৷ ঠিক তখনি প্রয়োজন হবে AGP Connector এর।
- PCI Slots
একটি মাদারবোর্ডে যখন এক্সটার্নাল ডিভাইস ব্যবহার করার দরকার হয়ে থাকে। তখন PCI Slots অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। কেননা, এই স্লটের মাধ্যমে বিভিন্ন এক্সটার্নাল ডিভাইসকে যুক্ত করা যায়। যেমন, গ্রাফিক্স কার্ড, অডিও কার্ড ইত্যাদি।
- CMOS Battery
সহজভাবে বলতে গেলে CMOS এর পূর্ণ নাম আছে। সেটি হলো Complementary Oxy Semiconductor. আমরা কম্পিউটার এর মধ্যে যে Date & Time দেখতে পাই। এই সময় এবং তারিখ কে সঠিকভাবে ধরে রাখার জন্য CMOS Battery এর অবদান অতুলনীয়।
- IOIC
মাদারবোর্ডে থাকা অন্যান্য কম্পোনেন্ট গুলোর চেয়ে বেশ গুরুত্বপূর্ণ একটি Components হলো IOIC. কারন, আমরা যেমন প্রয়োজন অনুসারে কোনো কম্পিউটার কে অন/অফ করতে পারি। মূলত সেই কাজটি করার জন্য IOIC বিশেষ ভূমিকা পালন করে।
তবে উপরের কম্পোনেন্ট গুলো ছাড়াও মাদারবোর্ডে আপনি আরও অনেক ধরনের Components দেখতে পারবেন৷ তবে আমি যদি একটি একটি করে বিস্তারিত আলোচনা করি। তাহলে এই লেখাটি অনেক বড় হয়ে যাবে। তবে যেগুলো গুরুত্বপূর্ণ কম্পোনেন্ট, উপরে শুধুমাত্র সেগুলো নিয়েই আলোচনা করেছি।
মাদারবোর্ড এর বিভিন্ন পোর্ট
আপনি মাদারবোর্ড সম্পর্কে জানতে এসেছেন। অথচ Motherboard Port সম্পর্কে জানবেন না। সেটা সম্ভব নয় বরং এই বিষয়ে আপনার যথেষ্ট ধারনা থাকতে হবে।
কেননা, এর মধ্যে থাকা বিভিন্ন কম্পোনেন্ট গুলোকে একে অপরের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করার জন্য Port বেশ উপকারী ভূমিকা পালন করে থাকে। আর সে কারনেই এবার আপনাকে All Motherboard Port গুলোর সাথে পরিচয় করিয়ে দিবো। যেমনঃ
- Serial Port: যখন আপনার কাজের সুবিধার জন্য অতিরিক্ত কোনো মডেম বা মাউস ব্যবহার করতে চাইবেন। তখন আপনাকে এই Serial Port টি ব্যবহার করতে হবে।
- Parallel Port: আপনি হয়তবা স্ক্যানার বা প্রিন্টার দেখে থাকবেন। আর এই বড় বড় ডিভাইস গুলোকে কানেক্ট করার জন্য Parallel Port ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
- VGA Port: আমরা সবাই জানি প্রতিটা কম্পিউটারে একটি করে মনিটর সংযোগ করা থাকে৷ আর পিসির সাথে মনিটরের সংযোগ স্থাপন করার জন্য ব্যবহার করা হয় VGA Port.
- Modem Port: যখন আপনি আপনার কম্পিউটারে ইন্টারনেট কানেকশন ব্যবহার করবেন। তখন আপনার Modem Port এর দরকার হবে।
- Power Connector: কোনো একটি কম্পিউটার ব্যবহার করার জন্য পাওয়ার (Current) এর দরকার হয়ে থাকে। আর পুরো একটি কম্পিউটারে পাওয়ার সাপ্লাই করার জন্য Power Connector এর প্রয়োজন হয়ে থাকে।
- Game Port: আপনি যদি গেম প্রিয় মানুষ হয়ে থাকেন। তবে আপনাকে অবশ্যই Game Port ব্যবহার করতে হবে। কারন, আপনার Game Console এবং Joystics কে সংযোগ দেয়ার জন্য গেম পোর্ট এর কোনো বিকল্প নেই।
- Sockets: এই ধরনের পোর্ট গুলো সচারাচর গোল আকৃতির হয়ে থাকে। আপনি যখন আপনার কম্পিউটারে হেডফোন/মাইক্রোফোন/স্পিকার ব্যবহার করবেন। তখন এই ধরনের Socket Port এর প্রয়োজন হবে।
- USB Port: একটি কম্পিউটার কে সঠিকভাবে পরিচালনা করার জন্য অনেক গুলো ডিভাইস এর দরকার হয়ে থাকে। যেমন, মাউস, কিবোর্ড ইত্যাদি। তো এই ধরনের ডিভাইস গুলোকে প্রবেশ করানোর জন্য ব্যবহার করা হয় USB Port.
একটি মাদারবোর্ড কে সঠিকভাবে পরিচালনা করার জন্য যেসব Port এর দরকার হয়ে থাকে। সেগুলো নিয়ে উপরে আলোচনা করা হয়েছে। আশা করি আলোচিত এই বিষয় গুলো সম্পর্কে আপনি পরিস্কার ধারনা পেয়ে গেছেন। আশাকরি এতদূর যেহেতু পড়ে এসেছেন তবে ধারণা করছি যে মাদারবোর্ড বলতে কি বুঝায় এ সম্পর্কিত আজকের আর্টিকেলটি আপনার ভালো লাগছে। চলুন বাকী অংশ ও পড়ে নেওয়া যাক।
মাদারবোর্ড তৈরি করার জনপ্রিয় কোম্পানির নাম
বর্তমান সময়ে এমন অনেক কোম্পানি আছে, যারা দীর্ঘদিন থেকে মাদারবোর্ড তৈরি করে আসছে। তবে এর মধ্যে কিছু কিছু কোম্পানি আছে। যারা আজকের দিনে মাদারবোর্ড তৈরিতে অন্যান্য কোম্পানি গুলোর থেকে শীর্ষে অবস্থান করে আছে। যেমনঃ
- Gigabyte
- AMD
- ASUS
- MSI
- Intel
- AOpen
- Biostar
- MSI
- ABIT
তো আপনি যদি কখনও মাদারবোর্ড কিনতে যান। তাহলে অবশ্যই উপরে উল্লেখিত কোম্পানি থেকে তৈরি করা মাদারবোর্ড কেনার চেস্টা করবেন। তাহলে আপনি ত্রুটিবিহীন Motherboard ব্যবহার করার সুযোগ পাবেন৷
মাদারবোর্ড এর দাম ২০২৪?
দেখুন, একটি মাদারবোর্ড কিনতে আপনার মোট কত টাকা খরচ করতে হবে। সেটি নির্ভর করবে আসলে আপনি কি ধরনের Motherboard কিনতে চান। কেননা, আপনি যদি High Configuration এর মাদারবোর্ড কিনতে চান। তাহলে অবশ্যই আপনাকে বেশি টাকা ব্যয় করতে হবে।
আর লো কনফিগারেশন এর জন্য অল্প টাকা দিয়েই মাদারবোর্ড কিনতে পারবেন। কারন Quality এবং Configuration এর উপর নির্ভর করে একেকটি মাদারবোর্ড এর দাম ৩ হাজার থেকে শুরু করে লাখ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে।
এখন আপনি আসলে কেমন কোয়ালিটি সম্পন্ন মাদারবোর্ড কিনতে চান। সেই কোয়ালিটির উপর দাম নির্ধারন করবে।
শেষকথা : আজকের পুরো লেখার মধ্যে মাদারবোর্ড বলতে কি বুঝায় এবং মাদারবোর্ড এর কাজ কি ও কত প্রকার ও কি কি সে সম্পর্কে স্টেপ বাই স্টেপ আলোচনা করা হয়েছে। আশা করি আজকের Motherboard নিয়ে আলোচিত বিষয়গুলো বেশ ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন। তবে এরপরও যদি আপনার মনে মাদারবোর্ড নিয়ে কোনো জানার থাকে। তাহলে নিচে কমেন্ট করে জানাবেন। আর এমন সব অজানা তথ্য বিনামূল্যে জানতে চাইলে ইসুজন বাংলা ব্লগ এর সাথে থাকবেন। ধন্যবাদ।