বাঙালির মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার কারণ এবং প্রতিরোধ আন্দোলন ব্যাখ্যা কর (এসাইনমেন্টের উত্তর)

আপনি কি ষষ্ঠ (৬ষ্ঠ) শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় অ্যাসাইনমেন্ট বাঙালির মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার কারণ ব্যাখ্যা কর এবং প্রতিরোধ আন্দোলন উত্তর সমাধান ২০২২ ২য় সপ্তাহ ১০০% নির্ভুল অনুসন্ধান করে চলেছেন? তবে আপনি সঠিক জায়গায় এসেছেন।  মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাঅধিদপ্তর থেকে আপনাদের দ্বিতীয় সপ্তাহের এসাইনমেন্ট ইতিমধ্যে প্রকাশ করেছে ।

ষষ্ঠ শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় অ্যাসাইনমেন্ট সমাধান ২০২২

প্রথমে আমরা দেখে নিই অ্যাসাইনমেন্টে কি কি রয়েছে- নিম্নোক্ত চিত্রে সুন্দরভাবে ষষ্ঠ শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় অ্যাসাইনমেন্ট সমাধান ২০২২ কিভাবে করবেন তা পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে উল্লেখ করা আছে।

[ads1]

বাঙালির মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার কারণ এবং প্রতিরোধ আন্দোলন ব্যাখ্যা কর
বাঙালির মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার কারণ এবং প্রতিরোধ আন্দোলন ব্যাখ্যা কর

শিরোনাম: বাঙালির মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার কারণ এবং প্রতিরােধ আন্দোলন

[ads2]

ক) প্রতিবেদনের বিষয়ের আলােকে ভূমিকা লিখতে হবে

উত্তর: মুক্তিযুদ্ধ বাঙালি জাতির সবচেয়ে গৌরবময় ঘটনা। এই যুদ্ধের মধ্য দিয়েই আমরা লাভ করেছিস্বাধীন দেশ, নিজস্ব পতাকা। ১৯৭১ সালের ২৬ শে মার্চ বাংলার ছাত্র-যুবক, কৃষক-শ্রমিকসহ সর্বস্তরের জনগণ বর্বর হানাদার পাকবাহিনীর বিরুদ্ধে সশস্ত্র যুদ্ধেঅবতীর্ণ হয়। তারইপরিণতিতে ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বরঅর্জিত হয়চূড়ান্ত বিজয়। বিশ্বের মানচিত্রে খোদিতহয় একটা নাম- ‘স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ’।

খ) বাঙালির মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার কারণ বর্ণনা করতে হবে

উত্তর: 

[ads3]

১। দেশকে শোষকের হাতথেকে রক্ষা করা

২। দেশকেপরাধীনতার গস্নানিথেকে মুক্ত করা।

৩। হানাদার বাহিনীর অন্যায় ও অত্যাচার থেকে দেশ ও দেশের মানুষকে রক্ষাকরা।

৪। শাসক ও শোষকদের অন্যায় অবিচার থেকে বাংলার মানুষকে মুক্ত করা।

৫। দেশকে স্বাধীন ও শোষণমুক্ত করা

পাকিস্তান সরকার এ দেশের মানুষের ওপরসামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিকভাবে নিপীড়নচালিয়েছিল বলেই বাঙালিরা মুক্তিযুদ্ধকরেছিল।

১৯৪৭ সালে পাকিস্তানরাষ্ট্র সৃষ্টির পর থেকেই পাকিস্তানিশাসকরা এ দেশের মানুষেরওপর বৈষম্যমূলক আচরণশুরু করে। বঙ্গবন্ধু শেখমুজিবুর রহমানের নেতৃত্বেবাঙালিরা তখন প্রতিবাদী হয়েওঠে। এতে পাকিস্তানি শাসকরাবাঙালিদের দমাতে চেষ্টা করে। তারই বাবে ১৯৭১ সালে বাঙালিরা মুক্তিযুদ্ধ শুরু করে।

গ) প্রতিরােধ আন্দোলনের উপায় বর্ণনা করতে হবে

উত্তর: 

[ads4]

স্বাধীনতাসংগ্রামকে বেগবান করারজন্য মুক্তিযুদ্ধের প্রধানসেনাপতি জেনারেল আতাউল গণি ওসমানীরনেতৃত্বে বাংলাদেশকে ১১টি সেক্টরেভাগ করা হয়। এ দেশেরঅগণিত ছাত্র-জনতা, পুলিশ, ইপিআর, আনসার ও সামরিক-বেসামরিক লোকদেরসমন্বয়ে মুক্তিবাহিনী গঠন করা হয়।

পাকিস্তানি হানাদারবাহিনীর কবল থেকেদেশকে মুক্তি করার লক্ষ্যেতারা যুদ্ধ কৌশল, অস্ত্রচালনা ও বিস্ফোরক ব্যবহার সম্পর্কে প্রশিক্ষণ নিয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেয়। যতই দিন যেতে থাকে ততই সুসংগঠিত হয় মুক্তিবাহিনী। মুক্তিবাহিনী গেরিলা যুদ্ধে রীতি অবলম্বন করে শত্রুদের বিপর্যস্ত করে। বিশাল শত্রুবাহিনী আধুনিক অস্ত্রশস্ত্র ও প্রশিক্ষণ নিয়েও মুক্তিবাহিনীর মোকাবিলায় সক্ষম হচ্ছিল না

একজন গেরিলা হলেন একজন অর্ধসামরিক বা বেসামরিক ব্যক্তি যে একটি ছোট দলের অংশ হিসেবে একটি বড়ো সরকারী সেনাবাহিনীকে আক্রমণ করে।

গেরিলা যুদ্ধ এমন এক ধরণের যুদ্ধ পদ্ধতি যেখানে ভূমি এবং ভৌগোলিক সুবিধা ব্যবহার করে প্রতিপক্ষের ওপরে প্রাধান্য বিস্তার করা হয়। গেরিলাযুদ্ধ অনেক সময়েই দুর্গম বন-জঙ্গল এলাকায় হয়ে থাকে। গেরিলারা যুদ্ধে জয় করার জন্য এবং সামরিক বাহিনীকে মোকাবিলা করার জন্য অনেক রকম সামরিক কৌশল ব্যবহার করে, যেমন অতর্কিত আক্রমণ , অন্তর্ঘাত, হানা, ক্ষুদ্র যুদ্ধ, হিট এবং রান কৌশল, ইত্যাদি।

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে বা স্বাধীনতা যুদ্ধে গেরিলারাই মুখ্য ভূমিকা পালন করে৷ স্বাধীনতার ডাকে সাড়া দিয়ে যুদ্ধে যারা অংশ নিয়েছিল তারা বেশিরভাগ ই ছিলেন, এদেশের নিম্ন পেশাজীবী ও সাধারণ জনতা। যুদ্ধের রণ কৌশল সম্বন্ধে তারা পুরোপুরি অজ্ঞ ছিলেন। স্বেচ্ছায় এগিয়ে আসা সাধারণ কিছু মানুষদের ভারতের দুমকিতে স্বল্প ট্রেনিং এর ব্যাবস্থা করা হয়। স্কুল, কলেজ, স্থাপনা, রাস্তা ঘাট ছিল পাকিস্থানিদের দখলে।

ফলে বাঙালি মুক্তিযোদ্ধারা ব্যাবহার করে দুর্গম এলাকা। বনে জঙ্গলে বসে যুদ্ধের ছোট ছোট প্লান করেন। স্বল্প সদস্য নিয়ে শত্রু ঘাটিতে আক্রমণ করেন । যোগাযোগ ব্যবস্থা নষ্ট করে দেন। ছোট ছোট অস্ত্র নিয়ে মুখোমুখি হয়ে যান, পাকিস্তানি দের বড় বড় অস্ত্রের সামনে। প্রবল ইচ্ছা শক্তি ও গেরিলা কৌশলের দরুণ, ভারী অস্ত্রের মুখেও পরাস্ত্র করে ফেলেন পাকিস্থানি সৈন্য বাহিনীকে।

বাংলাদেশের পক্ষে যে সব যোদ্ধারা অংশ নিয়েছেন তাদের মধ্যে খুব কম সংখ্যক সদস্যই ছিলেন সামরিক সদস্য। পুরোপুরি অদক্ষ কিন্তু ইচ্ছাশক্তি প্রবণ বাঙালী রক্তের কাছে পরাজিত হতে বাধ্য হয়েছিল পাকিস্তান। মুক্তিযোদ্ধাদের একমাত্র লক্ষ্য হয়ে উঠে শত্রু ঘায়েল করা। তা সে যেকোন মূল্যেই হোক

যেহেতু সাধারণ মুক্তিবাহিনীর তুলনায় প্রশিক্ষিত সামরিক বাহিনীর সদস্য সংখ্যা মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেওয়ার সুযোগ কম ছিল বা কম নিয়েছিল, তাই বলা যায় গেরিলা যোদ্ধাদের কারণেই মূলত যুদ্ধের ফলাফল নির্ধারিত হয়। শত্রুশিবির ধংসের মধ্যে দিয়ে ৭১ এর মার্চ থেকে যে স্বাধীনতার চেতনা বাঙালি হৃদয়ে জেগেছিল তা ই পরবর্তী ৯ মাস শক্তি যুগিয়েছিল বাংলাকে স্বাধীন বাংলাদেশে রুপান্তরের জন্য।

ষষ্ঠ শ্রেণীর সকল এসাইনমেন্টের সমাধান পেতে এখানে চাপুন।

[ads5]

ষষ্ঠ (৬ষ্ঠ) শ্রেণির ইংরেজি অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২২ (২য় সপ্তাহ)

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *