অগ্নি বীমা কাকে বলে বা বলতে কি বুঝায় সরাসরি আলোচনায় যাওয়ার আগে এই বিমা কেন এসেছে এই নিয়ে একটু বলা যাক। সভ্যতার শুরু থেকেই আগুন মানুষের নিত্য সঙ্গী। আগুনের ব্যবহার সভ্যতার বিকাশে যেমন সহায়তা করেছে, তেমনিভাবে আগুনে পুড়ে ক্ষতিগ্রস্ত সম্পত্তির আর্থিক লোকসান পুষিয়ে নিতে অগ্নি বিমা বা ফায়ার ইনস্যুরেন্সের (Fire Insurance) জুড়ি নেই। নির্ধারিত হারে প্রিমিয়াম জমা নিয়ে বিমা কোম্পানিগুলো অগ্নি বিমা পলিসি ইস্যু করে।
ভবন ও ভবনের অভ্যন্তরীণযন্ত্রপাতি, আসবাবপত্র ও দ্রব্যাদি এবং ব্যবসায়িক পণ্যদ্রব্যেরজন্য অগ্নি বিমাকরা যায়। আবার সবগুলো বিষয়কে একসাথে বিমার আওতায় আনাযায়। ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসারের সাথেসাথে অগ্নি বিমার প্রচলনবেড়ে যাচ্ছে। এ ইউনিটে অগ্নি বিমার শ্রেণিবিভাগ, অগ্নিবিমার অপরিহার্য উপাদান, অগ্নিজনিত ক্ষতি প্রভৃতি নিয়েআলোচনা করা হবে। তাহলেআসুন, অগ্নি বিমার নানা বিষয় জেনে নিই।
অগ্নি বীমা কাকে বলে
নাম থেকেই প্রতীয়মান হয় যে, আগুনের ক্ষয়ক্ষতি থেকেরক্ষা পাওয়ার জন্যই অগ্নিবিমার উদ্ভব হয়েছে। সারাবিশ্বে এটি বহুলব্যবহৃত বিমা। অগ্নি বিমা সম্পত্তিবিমার একটিধরন মাত্র। এটি একটি চুক্তি। যে চুক্তির দ্বারা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে অগ্নিজনিত ক্ষতির জন্য বিমাগ্রহীতাকে বিমাকারী নির্দিষ্ট প্রিমিয়ামের বিনিময়ে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ প্রদান করার প্রতিশ্রুতি প্রদান করে, তাকে অগ্নি বিমা বলে।
আর. এস. শর্মার (R. S. Sharma) মতে, “অগ্নি বিমা চুক্তি একটি চুক্তি যার মাধ্যমে প্রতিদানের বিনিময়ে এক পক্ষ অপর পক্ষের বর্ণিত বিষয়বস্তু অগ্নি দ্বারা অথবা চুক্তিতে বর্ণিত অন্য কোনো বিপদে ক্ষতিগ্রস্ত হলে চুক্তিতে নির্ধাারিত পরিমাণ ক্ষতিপূরণ করার অঙ্গীকার করে।”
এম. এন. মিশ্রর (M. N. Mishra) মতে, “অগ্নিকান্ডের কারণে সৃষ্ট ক্ষতিপূরণ দেওয়ার প্রতিশ্রুতিকে অগ্নি বিমা বলে।”
পরিশেষে বলা যায়, আগুনের ক্ষতিথেকে আর্থিক ক্ষতিপূরণ পাওয়ারজন্য যে বিমা করাহয়, তাকে অগ্নি বিমা বলে।
অগ্নি বিমার বৈশিষ্ট্য সমূহ
অগ্নি বিমার সংজ্ঞাগুলো ব্যাখ্যা করলে অগ্নি বিমার নিচের বর্ণিত বৈশিষ্ট্যাবলি দেখতে পাওয়া যাবে:
- অগ্নি বিমাএকটি চুক্তি যেখানে দুটিপক্ষ থাকে; (i) বিমাগ্রহীতা ও (ii) বিমা কোম্পানি।
- এটি একটি ক্ষতিপূরণের চুক্তি।
- চুক্তির বিষয়বস্তু হবে সম্পত্তি ও মানুষ, কিন্তু শস্যবা গবাদিপশু এর বিষয়বস্তু নয়।
- ক্ষতিপূরণ পেতেহলে নির্ধারিত সময়েরমধ্যে অগ্নিজনিত কারণে ক্ষতিহতে হবে।
- বিমার সময়ে নির্ধারিত পরিমাণ প্রদত্ত প্রিমিয়ামহলো প্রতিদান।
- ক্ষতিপূরণের পরিমাণ ক্ষতির সমান বা চুক্তিতে বর্ণিত নির্দিষ্ট সীমা পর্যন্ত নির্দিষ্ট হবে।
- বিমার বিষয়বস্তু অবশ্যই নির্ধারিত থাকবে। এখানে অগ্নির সংজ্ঞা ভিন্ন। অগ্নি বিমার ক্ষেত্রে অগ্নিহলো সাধারণভাবে তাই যা দিয়ে কোনো কিছু পুড়িয়ে ফেলা হয়। কিন্তু যা থেকে কেবলমাত্র আলো বা উত্তাপ সৃষ্টি হয় তা আগুন নয়।
বজ্রপাত বা বিদ্যুৎ উত্তাপ বাআলো সৃষ্টি করলেও তা অগ্নি বিমারক্ষেত্রে আগুন বলে চিবেচিতহবে না। তাই বজ্রপাতের ফলে কোনো জিনিস পুড়ে গেলে তাঅগ্নি বিমার আওতাভুক্তহবে না।
অগ্নি বিমার গুরুত্বদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে অন্যান্যবিমার মত অগ্নি বিমার বিশেষভূমিকা রয়েছে। তাহলে আসুন, এগুলোজেনে নিই।
১. মূলধন গঠন ও বিনিয়োগ: বিমা কোম্পানিগুলো অগ্নিবিমার মাধ্যমে বিভিন্ন গ্রাহকের কাছ থেকেপ্রিমিয়াম হিসেবে প্রচুর অর্থ সংগ্রহ করে যাদেশের মূলধন গঠনে সাহায্যকরে এবং উক্ত সংগৃহীত অর্থ লাভজনক উন্নয়ন প্রকল্পে বিনিয়োগকরে। যার ফলে বিনিয়োগ বৃদ্ধি পায়। এর ফলে কঅর্থনীতিতে একটি চাঙ্গাভাব কবজায় থাকে এবং দেশের প্রবৃদ্ধিতে ইতিবাচক অবদান রাখে।
২. শিল্প ক্ষেত্রে অবদান: অগ্নি ও বৈদ্যুতিক দূর্ঘটনার মাধ্যমে কব্যবসায়ের সম্পদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়, কযা ব্যবসায়ের গতিধারাকে বাধাগ্রস্ত ককরতে পারে। অগ্নিজনিত ককারণে ক্ষতি হলে কঅগ্নি বিমা তার ক্ষতিপূরণ কপ্রদান করে। ফলে ব্যবসায়ের কগতি স্বাভাবিক থাকে।
৩. সামাজিক কল্যাণসাধন: অগ্নি কবিমা ব্যক্তিগত ও সমষ্টিগত কঝুঁকি বহন করে। অগ্নিজনিত কক্ষতি হলে বীমাকারী ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি কবা প্রতিষ্ঠানের ক্ষতি কলাঘব করে দেয়। এভাবে ককাউকে চরম অর্থনৈতিক দূর্দশা থেকে করক্ষা করে। এ ধরনের ককার্য প্রকারান্তরে সমাজেরই ককল্যাণ সাধন করে। কএ ধরনের সামাজিক ককল্যাণ আবার অর্থনৈতিক কউন্নয়নের উপর ইতিবাচক কপ্রভাব ফেলে।
৪. কর্মসংস্থান সৃষ্টি: বিমা কব্যবসায় লাভজনক হওয়ায় কঅগ্নি বিমা প্রতিষ্ঠান কদিন দিন বৃদ্ধি কপাচ্ছে। ফলে এতে নতুন নতুন ককর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি কহচ্ছে। ফলে কবেকার সমস্যা সমাধানে কঅগ্নি বিমা অবদান করাখছে।
৫. সচেতনতা বৃদ্ধি: অগ্নি খবিমা প্রতিষ্ঠানগুলো অগ্নি খখবিমা গ্রহণ করার খসময় অগ্নির ঝুঁকি কমানোর খনানা পরামর্শ ও উৎসাহ দান খকরে থাকে। মাঝে খমাঝে অগ্নি বিমাকারীর খপ্রতিনিধিরা অগ্নি বিমাকৃত সম্পদ খপরিদর্শন করে। ফলে মানুষের মধ্যে খঅগ্নিজনিত ক্ষতি সম্পর্কে খসচেতনতা বৃদ্ধি পায় খএবং অগ্নি ঝুঁকিও কমে যায়।
৬. অন্যান্য বিমার পরিপূরক: অগ্নি বিমায় খক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বহুমুখী। খযান ও মাল উভয়েরই খব্যাপক ক্ষতি হয়। অগ্নি বিমা খব্যবস্থা অন্যান্য বিমার খপরিপূরক হয়ে ব্যক্তি, সমাজ খএবং দেশের অর্থনৈতিক গতিকে খআরও ত্বরান্বিত করে। কারণ খকোনো বিমা ব্যবস্থাই খএককভাবে সার্বিক ভূমিকা খপালন করতে পারে না।
পরিশেষে বলা যায় যে, অগ্নি বিমা যেমন দেশের সম্পদ রক্ষা করে, তেমনিভাবে মূলধন গঠন করে ও বিনিয়োগ বৃদ্ধি করে, ব্যবসা বাণিজ্যের চাকাকে সচল ও শক্তিশালী করে এবং দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা রাখে। ইতিমধ্যে আপনি অগ্নি বীমা কাকে বলে এবং বৈশিষ্ট সমূহ জেনেছেন এবার জানবেন প্রকারভেদ।
অগ্নি বীমার ধরণ বা প্রকারভেদ
ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসারের সাথে সাথে নতুন নতুন অগ্নি বিমার উদ্ভব ঘটছে। নিচে এদের বর্ণনা দেওয়া হলো:
১. মূল্যায়িত বিমাপত্র
এ ধরনের বিমাপত্রের গবেলায় বিমার বিষয়বস্তুর গমূল্য পূর্বেই নির্ধারণ করা গথাকে এবং বিমার বিষয়বস্তু ক্ষতিগ্রস্ত গহলে বিমাকারী বিমা গ্রহীতাকে গউক্ত মূল্যের সমপরিমাণ ক্ষতিপূরণ দিয়ে গথাকে। পূর্ব থেকেই মূল্য গনির্ধারিত থাকে বিধায় বিমার দাবীর গসময় সম্পদের মূল্যের প্রমাণপত্র গহাজির করার প্রয়োজন হয় গনা। সাধারণতঃ মূল্যবান জিনিসপত্র, স্বর্ণালংকার ও গশিল্পকর্মের ক্ষেত্রে এরূপ বিমাপত্র গগ্রহণ করা হয়ে থাকে। এ গবিমায় একজন বিমাকারী পূর্ব গথেকেই ক্ষতির পরিমাণ বা গদাবীর পরিমাণ সম্পর্কে অবহিত গথাকে। এ ধরনের বিমায় গপ্রিমিয়ামের হার সাধারণত গবেশি থাকে।
২. অমূল্যায়িত বিমাপত্র
অমূল্যায়িত বিমাপত্রের ক্ষেত্রে গক্ষতিগ্রস্ত সম্পত্তির বাজার গমূল্যের উপর বিমার গদাবীর পরিমাণ নির্ভর গকরে। তাই বিমা গ্রহণ করার গসময় ঠধষঁবৎ দিয়ে গবিষয়বস্তুর মূল্য নির্ধারণ গকরা হয় না। এতে গপরে মূল্য নির্ধারণ করা গহয় বিধায় ক্ষতিপূরণের নীতি গপুরাপুরি ভাবে গপ্রয়োগ করা যায়।
৩. গড়পড়তা বিমাপত্র
কেউ সম্পদের বাজার ঘমূল্য থেকে ঘকম বা বেশি মূল্যে ঘবিমা করলে আনুপাতিক ঘহারে ক্ষতিপূরণ করা ঘহয়। এক্ষেত্রে বিষয়বস্তুর বিমাকৃত ঘমূল্য ও বাজার ঘমূল্যের অনুপাত অনুযায়ী ঘক্ষতিপূরণ নির্ধারণ করা ঘহয়।
৪. সুনির্দিষ্ট বিমা পত্র
এ ধরনের বিমাপত্রে ঘবিমাকৃত সম্পত্তি ও সম্পদের ঘমূল্য সুনির্দিষ্ট থাকে এবং ঘএকটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য ঘবিমা করা হয়ে থাকে। ঘএ ক্ষেত্রে ক্ষতির ঘপরিমাণ যা-ই হোক ঘনা কেন, বিমাকারী ঘবিমাকৃত সম্পদের ক্ষতি হলে ঘশুধুমাত্র নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ ঘবিমাগ্রহীতাকে ক্ষতিপূরণ হিসেবে ঘপ্রদান করবে। সম্পত্তির মূল্যায়নের ঘসমস্যা থাকে না, দু’ পক্ষই আগে থেকে ঘক্ষতিপূরণের পরিমাণ জানতে পারে। ঘসামগ্রিক ক্ষতি ব্যতীত ঘকমতি বিমার জন্য এ ঘধরনের বিমাপত্রে বিমাগ্রহীতাকে ক্ষতিপূরণ কম ঘপাবার ক্ষতি স্বীকার ঘকরতে হয় না।
৫. ভাসমান বিমাপত্র
একই মালিকঘ বিভিন্ন স্থানে ঘরক্ষিত সম্পত্তির জন্য ঘএকটি মাত্র বিমাপত্র ঘগ্রহণ করলে তাকে ভাসমান বিমাপত্র বলা ঘহয়। এক্ষেত্রে বিমাকারী ঘবিভিন্ন স্থানের সম্পদের ঘআলাদা আলাদা সালামী হিসাব ঘকরে একটি মোট ঘসালামীর গড় নির্ণয় করে সাকুল্য ঘসালামী ধার্য করে ঘথাকে। মজুত পণ্যের হ্রাসঘ-বৃদ্ধির ক্ষেত্রে এ ঘধরনের বিমা কার্যকর। বিক্ষিপ্ত পণ্য ঘবিমা করে বিমাগ্রহীতা সুবিধা ঘলাভ করে থাকে। গড় ঘপ্রিমিয়াম বের করা বেশ ঘজটিল। এখানে কোনো ঘকোনো বিশেষ পণ্যের ক্ষেত্রে ঘবিশেষ শর্ত যুক্ত ঘকরতে হয়।
৬. বাড়তি বিমাপত্র
মজুত পণ্যে (ওহাবহঃড়ৎু)-এর চউপর এ ধরনের চবিমা করা হয়। যে চসকল কারবারীর মজুত পণ্যের চপরিমাণ নির্দিষ্ট না থেকে হ্রাস চবৃদ্ধি ঘটে, তাদের জন্য চবাড়তি বিমাপত্র বেশ উপযোগী। চএক্ষেত্রে বিমাগ্রহীতার যে পরিমাণ চমজুত পণ্য তার কাছে চসর্বদা থাকে, তার জন্য চএকটি বিমাপত্র এবং এর চঅতিরিক্ত যে পরিমাণ মজুদ চহয়, তার জন্য অন্য চআরেকটি বিমা পত্র চগ্রহণ করে চথাকে।
৭. ঘোষণাযুক্ত বিমাপত্র
এ বিমাটিওচ মজুত পণ্যের চউপর করা হয়। এক্ষেত্রে চবিমাগ্রহীতার সর্বোচ্চ পরিমাণ মজুত চমালের মূল্য ধরে বিমা করা চহয় এবং প্রাথমিকভাবে সাধারণত ৭৫চ% প্রিমিয়াম প্রদান করা হয়। চনির্দিষ্ট সময় অন্তর সাধারণতঃ চমাসে মাসে মজুত পরিমাণ পণ্যের চমূল্য ঘোষণা দিতে হয় চএবং বৎসর শেষে মোট চমজুতের গড় করে প্রিমিয়াম চনির্ধারণ করা হয়। যদি প্রিমিয়াম চপূর্বের প্রদত্ত প্রিমিয়াম চথেকে কম হয়, তবে চতত পরিমাণ ফেরত দেয়। চআর প্রিমিয়াম বেশি হলে চঅতিরিক্ত প্রিমিয়াম বিমাকারীকে দিতে হয়। চসাধারণতঃ বড়ো বড়ো চউৎপাদনকারী ও ব্যবসায়ীগণ চযাদের প্রচুর পরিমাণে মজুত মাল চথাকে ও তা চপরিবর্তনশীল হয়ে থাকে, চতারা এ ধরনের চবিমা গ্রহণ করে চলাভবান হয়ে থাকে।
৮. সমন্বয়যোগ্য বিমাপত্র
এ ধরনের বিমাপত্রে বিমাগ্রহীতা চপ্রথমে মজুত পণ্যের মূল্যের চসমান একটা সাধারণ চবিমা গ্রহণ করে এবং চপরে মজুত মালের পরিমাণ চহ্রাস-বৃদ্ধি চহলে তা বিমার চআওতায় আনা হয়। চএ ধরনের বিমাপত্রের চক্ষেত্রে বিমাকৃত মূল্য চবিমাপত্র গ্রহণের সময়কালে প্রকৃত মজুত চপণ্যের মূল্যের সমান হবে। চএ মূল্যে অস্থায়ী প্রিমিয়াম চনির্ধারণ করা হয় এবং চতা বিমাপত্র গ্রহণ করলেই চপরিশোধ করা হয়। মজুতপণ্যের চপরিমাণ হ্রাস-বৃদ্ধি চহলে তা ঘোষণা দ্বারা চজানাতে হয়। এ ঘোষণা অনুযায়ী চবিমাকারী বিমার কিস্তি হ্রাসচ-বৃদ্ধি করে থাকে। চযতবার মজুত পণ্য চহ্রাস-বৃদ্ধি হয়, চততবারই বিমার কিস্তি হ্রাস-চবৃদ্ধি করার প্রয়োজন হয় চএবং বিমা চুক্তির মেয়াদ চশেষে প্রিমিয়াম চূড়ান্ত চকরা হয়।
৯. পুনঃস্থাপন বিমাপত্র
এ ধরনের বিমাপত্রের মাধ্যমে চসম্পত্তি বিনষ্ট হলে চতার জন্য কোনো ক্ষতিপূরণ চনা দিয়ে উক্ত চসম্পত্তি পুনরায় প্রতিস্থাপন করার চজন্য বিমাকারী প্রতিশ্রুতিবদ্ধ চথাকে।
১০. আনুষঙ্গিক ক্ষতি বিমাপত্র
অগ্নি বিমার সাথে চঅন্য একটি বিমাসহ চবিমাপত্র গ্রহণ করা চহরে হা আনুসঙ্গিক চক্ষতি বিমাপত্র হিসেবে পরিচিত। চঅগ্নিকাণ্ডে ক্ষতি ছাড়াও চউক্ত সম্পদ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার চকারণে ব্যবসা বন্ধ চহয়ে থাকার জন্য যে চমুনাফা কমে যায়, সে পরিমাণ চমুনাফা হানির জন্য যে চবিমা করা হয়, তাকে আনুসঙ্গিক ক্ষতি চবিমাপত্র বলে।
অগ্নি বিমার তাৎপর্য ছহলো- শিল্পের চাকাকে ছসচল রাখে, আর্থিক বুনিয়াদ ছমজবুত করে, সামাজিক কল্যাণ ছসাধন করে, সচেতনতা সৃষ্টি করে ছএবং অন্যান্য বিমার জন্য ছপরিপূরক ভূমিকা পালন করে। ছবর্তমানে প্রচলিত উল্লেখযোগ্য অগ্নি ছবিমাপত্র গুলো হলো- ছমূল্যায়িত বিমাপত্র, অমূল্যায়িত ছবিমাপত্র, গড়পড়তা বিমাপত্রছ, সুনির্দিষ্ট বিমাপত্র, ভাসমান ছবিমাপত্র, বাড়তি বিমাপত্রছ, ঘোষণাযুক্ত বিমাপত্র, ছসমন্বয়যোগ্য বিমাপত্র, সার্বিক ছবিমাপত্র, মুনাফা হানিকর ছবিমা পত্র ও বাট্টাকৃত বিমাপত্রছ।
আশাকরি উপরোক্ত পোষ্ট পড়ে আপনি বর্তমানে অগ্নি বীমা কাকে বলে বা অগ্নী বীমা বলতে কী বুঝায় এ সম্পর্কে সঠিক ধারণা রাখেন। ধন্যবাদ পোষ্টটি পড়ার জন্য।